
সং রাজত্বকালে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাফল্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনটি আবিস্কার-- দিকদর্শন যন্ত্র,মুদ্রন ও বারুদ ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে বা উন্নত করা হয়েছে। এর মধ্যে মুদ্রন প্রযুক্তি ইউরোপের চেয়ে চার শো বছর আগে আবিস্কার করেছিলেন চীনা বিজ্ঞানী বিসেন ।জ্যোতির্বিদ সুশং জ্যোতিবিদ্যার গবেষনায় ব্যবহৃত প্রথম ঘন্টা তৈরী করেছিলেন । সেন খুওয়ের রচনা "স্বপ্নঝরনার ধারে লিপিকা " বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ইতিহাসে উঁচু স্থান অধিকার করেছে । সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ভাববাদ আধিপত্য লাভ করে । জু সি, লু জিউ ইউয়ান প্রমুখ ছিলেন প্রখ্যাত ভাববাদী পন্ডিত । ডাও ধর্ম,বৌদ্ধধর্ম ও অন্যান্য বহিরাগত ধর্ম নির্বিঘ্নে প্রচারিত হয়েছে ।উত্তর সং রাজত্বকালে ঔ ইয়াং সিউয়ের সম্পাদিত " নতুন থাংয়ের পুস্তক " থাং রাজত্বকালের ইতিহাস সংরক্ষণে বিরাট অবদান রেখেছে । "জিচিতংচিয়ান "নামে প্রধান সম্পাদক সিমাকুয়াংয়ের সম্পাদিত বর্ষ-লিপি ইতিহাস রচনায় একটি আদর্শ স্থাপন করেছে । সাহিত্য ক্ষেত্রে ঔ ইয়াং সিউ ,সুসি প্রমুখ ছিলেন বিখ্যাত প্রবন্ধকার । শং কাব্য ছিল এই যুগের সাহিত্য-শিখর ।খ্যাতনামা কবিদের মধ্যে ছিলেন ইয়ানচু , লিউইয়ং, চৌবাংইয়ান ,লিজাওছিং ও সিং ছি জি। সং ও জিন রাজবংশীয় আমলে গল্প ও নাটকও প্রচুর লেখা হয়েছে । চিত্রশিল্পীরা যে পাহাড় ,নদী, ফুল আর পাখীর ছবি একেঁছেন তা সবচেয়ে জনপ্রিয় । চিত্রকলারইতিহাসে ছিংমিং উত্সব উপলক্ষে নদী সংস্কাররত কৃষক নামে বিখ্যাত চিত্রকর জাংজেদুয়ানের আঁকা ছবি একটি অমর রচনা ।
1 2