|
১৯০৭ সালে থাইল্যান্ড প্রথমবার বিশ্বমেলায় অংশ নিয়েছিল । এ পর্যন্ত থাইল্যান্ড মোট চারবার বিশ্বমেলায় অংশ নিয়েছে । থাইল্যান্ড বিশ্বমেলায় প্রধানতঃ থাই জাতির ঐতিহ্যিক স্থাপত্য রীতি প্রদর্শন করবে এবং থাইল্যান্ডের সংস্কৃতি প্রচার করবে। সাংহাই বিশ্বমেলায় থাইল্যান্ডের প্রদর্শনী ভবনের মোট আয়তন ৩১১৭ বর্গমিটার । চার কোণাকার এ ভবনের ছাদে থাই স্টাইলের টাওয়ার ও ভবনের বাইরের রংবেরংয়ের কাচের টালি সূর্যের আলোয় ঝক ঝক করবে । থাইল্যান্ড ভবনের প্রতিপাদ্য হল 'টেকসই জীবনযাত্রা থাইল্যান্ডের বৈশিষ্ট্য' । প্রদর্শনী ভবনে তিনটি প্রদর্শনী কক্ষ রয়েছে । এ প্রসঙ্গে থাইল্যান্ডের সমাজ উন্নয়ন ও মানবিক নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ইসারা সোমছাই বলেন , থাই ভবনের প্রথম প্রদর্শনী কক্ষে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন স্থানের অধিবাসীদের জীবনযাত্রার পদ্ধতি এবং বিভিন্ন জাতির অধিবাসীদের সুষম পরিবেশে বসবাসের দৃশ্য , দ্বিতীয় প্রদর্শনী কক্ষে বিভিন্ন ঐতিহাসিক পর্যায়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে থাইল্যান্ডের বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদান আর তৃতীয় প্রদর্শনী কক্ষে থাইল্যান্ডের স্বনির্ভরতা ও অভিন্ন সমৃদ্ধির জীবনের ছবি ও তথ্য প্রদর্শিত হবে ।
ইসারা বলেন , তিনটি প্রদর্শনী কক্ষে নতুন প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে দর্শকদের জন্য থাইল্যান্ডের সংস্কৃতি ও শিল্পকলা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং দর্শকদের থাই স্টাইলের জীবন উপভোগের সুযোগ দেয়া হবে । ইসারা মনে করেন , সাংহাই বিশ্বমেলার মাধ্যমে বিশ্বের কাছে থাইল্যান্ডের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হবে এবং থাইল্যান্ডের ভাবমূর্তি আরো উন্নত হবে । ইসারা বলেন , একথা বলা যায় যে , সাংহাই বিশ্বমেলায় অংশ নেয়ার মাধ্যমে থাইল্যান্ডের শুধু অর্থনৈতিক লাভ হবে , তা নয় , বরং থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় ভাবমূর্তি আরো উন্নত হবে । গত কয়েক বছরে থাইল্যান্ডের অর্থনীতি , সমাজ , সংস্কৃতি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি হয়েছে , এতে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে । এ ছাড়াও থাইল্যান্ডের অর্থনীতির প্রধান অবলম্বন –পর্যটন শিল্প প্রসারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে । তাছাড়া থাইল্যান্ডের প্রদর্শনী ভবনে থাইল্যান্ডের সুস্বাদু খাবার ব্যাপকভাবে প্রচার করা হবে , যাতে সকল অতিথি থাইল্যান্ডের খাবার উপভোগের সুযোগ পান এবং থাইল্যান্ডের সংস্কৃতি সম্পর্কে আরো চানকে পারেন ।
কেউ কেউ আশংকা করছেন যে এখন থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল , এ কারণে থাইল্যান্ড হয়ত সাংহাই বিশ্বমেলায় নাও অংশ নিতে পারে । এ প্রসঙ্গে ইসারা বলেন , যদিও থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল নয় , তবে থাই সরকার সংলাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে পারবে । সাংহাই বিশ্বমেলায় থাইল্যান্ডের প্রদর্শনী ভবন অবশ্যই সময়মত খোলা হবে । আমাদের আরেকটি আকাংখা হল ২০২০ সালে বিশ্বমেলা আয়োজন করা । তিনি বলেন , সাংহাই বিশ্বমেলায় অংশ নেয়ার প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষ হয়েছে । আমি বিশ্বাস করি , রাজনৈতিক বিরোধ সমাধানের পর থাইল্যান্ডের অবস্থা আরো ভাল হবে । থাইল্যান্ড ২০২০ সালের বিশ্বমেলা আয়োজন করতে আগ্রহী । আমি বিশ্বাস করি , সেই সময় থাইল্যান্ড বিশ্বমেলা আয়োজনের যোগ্যতা প্রদর্শন বরে বিশ্বমেলা আয়োজনের অনুমতি পাবে। সাংহাই মেলায় থাইল্যান্ডের প্রদর্শনী ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে । শুধু সাজানোর কাজ বাকি রয়েছে । আলোক সজ্জা বসানোর কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে । সাংহাই বিশ্বমেলায় থাই ভবন সময়মতই খোলা হবে । আমি বিশ্বাস করি , সাংহাই বিশ্বমেলা অবশ্যই সফল হবে , এ মেলা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনগণের একটি মহাসম্মীলন হবে এবং চীনা জনগণের গর্ব হিসেবে ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সংযোজন করবে ।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |