
সুই রাজবংশ ও থাং রাজবংশের শাসনামলে সাংবিধানিক গঠনে লক্ষনীয় অগ্রগিত অর্জিত হয় । যেমন , দেশকে তিনটি প্রদেশে বিভক্ত করা হয় এবং ছটি পরিষদ নিয়ে রাজসভা গঠন করা হয় , পরীক্ষার মাধ্যমে রাজকর্মচারী নির্বাচন করা হয় এবং কর আইন প্রনয়ণ করা হয় ,এটা পরবর্তী রাজবংশগুলোর উপরে সুদুরপ্রসারী প্রভাব বিস্তার করেছে । সুই রাজবংশ ও থাং রাজবংশের রাজত্বকালে অপেক্ষাকৃত উন্মুক্ত নীতি কার্যকরী করা হয় ,বিদেশের সংগে চীনের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আদান প্রদান ঘনঘন চালানো হয় । সাহিত্যাঙগনে কাব্যসৃস্টির কীর্তি সর্বাপেক্ষা বেশী । থাং রাজবংশের রাজত্বকালের প্রারম্ভে জেন জি আঙ, ঐশ্বর্যময় যুগের লি পাই ও তু ফু , মধ্যভাগের পাই জু ই ও ইউয়ান চেন এবং শেষভাগের লি সাং ইং ও দু মো কাব্যাঙনের প্রতিনিধি । হান ইয়ু ও লিউ জং ইউয়ান প্রাচীনগ্রন্থ প্রচলনের যে প্রয়াস চালিয়েছিলেন পরবর্তীকালের সাহিত্য ও কৃষ্টিতে তার বিরাট প্রভাব পড়েছে । ইয়ান চেন ছিংয়ের লিপিকলা , নিয়ান লি বেন, উ তাও চি ,লি সি সুন আর ওয়াং ওয়ের চিত্রকলা , সংগীত ও নৃত্য এবং গুহা শিল্প যুগ যুগ ধরে প্রচলিত ছিল । বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে চীনের চারটি আবিস্কারের মধ্যেকার দুটো আবিস্কার ,অর্থাত মুদ্রন কৌশল ও বারুদের জন্ম হয়েছে এই সময়পর্বে ।

থাং রাজবংশের শেষভাগে রাজনৈতিক হট্টগোলের সুত্রপাত ঘটে । নিউ চক্র ও লি চক্রের মধ্যকার রেষারেষি এবং খোজাদের যথেচ্ছ ক্ষমতা প্রয়োগের সময়ে একটির পর একটি কৃষক বিদ্রোহ সংঘটিত হয় ।অবশেষে যে হুয়াংছাও বিদ্রোহ সংঘটিত হয় তার অন্যতম নেতা জু ওয়েন প্রথমে থাং রাজদরবারের সংগে বিশ্বাসঘাতকতা করেন ,পরে থাং রাজবংশকে উত্খাত করে সিংহাসন দখল করেন এবং পাঁচ যুগের প্রথম রাজবংশ-- হৌলিয়াং রাজবংশ স্থাপন করেন ।
1 2