|
একদিন একজন নিগ্রো মা নিজের মেয়েকে নিয়ে একটি বিখ্যাত পোষাকের দোকানে যান। এ সময় একজন শ্বেতাঙ্গ কর্মচারী মেয়েটিকে বাধা দিয়ে বললো, " তুমি এখানে ঢুকতে পারবে না, এখানে শুধু শ্বেতাঙ্গরা ঢুকতে পারে"। এ কথা শুনে মেয়েটি অনেক দুঃখ পেলো। তবে মেয়েটির মা হাসি মুখে ঐ কর্মচারীকে বললো " ভাই, আজ যদি আমার মেয়ে আপনাদের দোকানে না ঢুকতে পারে তাহলে আমরা আপনাদের দোকানের পোষাক কিনবো না, আরেকটি পোষাকের দোকানে চলে যাবো"।
ঐ কর্মচারী মেয়েটির মা'র কথা শুনে নিজের দোকানের আয় বাড়ানোর জন্যে তাঁর মেয়েকে দোকানে প্রবেশ করতে দিতে রাজি হয়।
হঠাত্ করে মেয়েটি দোকানের একটি সুন্দর টুপি স্পর্ষ করার করায় শ্বেতাঙ্গ কর্মচারীটি মেয়েটিকে দু'চার কথা শুনিয়ে দিল। এ অবস্থা দেখে মা আবারও ঐ শ্বেতাঙ্গ কর্মচারীটির কাছে গিয়ে বললো " দয়া করে, আপনি আমার মেয়ের সাথে এভাবে কথা বলবেন না"। তারপর, সে তার নিজের মেয়েকে বললো, " প্রিয় খুকি, তুমি এখন এ দোকানের তোমার পছন্দের যে কোন টুপি স্পর্ষ করতে পারো"। মেয়েটি খুবই আনন্দের সাথে দোকানের সব টুপি ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখলো।
এ সব অন্যায্য চর্চার বিরুদ্ধে মা তার ক্ষোভ মনে পুষে রেখে নিজের মেয়েকে বললো, " মনে রাখবে প্রিয় খুকি, এ সব কিছুই একদিন পরিবর্তিত হবে। দোকানির এ অন্যায্য আচরণ তোমার ভুল নয়, তোমার শরীরের রঙ কালো তবে তোমার পরিবার পরিজন সবাই তোমারই একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। তুমি যদি তোমার নিজের সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন করতে চাও, তাহলে তোমাকে অন্যজনের চেয়ে আরো অনেক বেশি ভাল অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। এভাবেই তোমার জীবনে সুবর্ণ সুযোগ পাওয়া সম্ভব হবে।
মা'র কথা শুনে মেয়েটি নিজেকে গড়ে তোলার লক্ষে অক্লান্ত প্রচেষ্টা চালাতে থাকে। অবশেষে সে একদিন একজন অনন্য মানুষে পরিণত হতে সক্ষম হয়। সেদিনের সেই মেয়েটি আর কেউ নয়, সে হলো মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী কন্ডোলিত্সা রাইস।
বন্ধুরা, এ গল্প শুনে আপনারা কি বুঝলেন? হ্যাঁ, আমরা বুঝতে পেরেছি যে, এ গল্পটি জীবনের একটি বাস্তবতা; যাকে সহজেই পরিবর্তন করা যায় না। শুধু মাত্র নিজের যথাসাধ্য প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে সকল বাধা অতিক্রম করে সাফল্য অর্জন করা সম্ভব । ---ওয়াং হাইমান
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |