|
একটি ছেলে একদিন বাসায় ফিরে আসার পর, তার পরিবারের অবস্থা দেখে খুব অবাক হয়ে যায়। সে দেখলো তাঁর মা খুবই দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে কাঁদছে। ছেলেটি তো কখনো মা'কে এমন কান্না রত অবস্থায় দেখেনি।
সে বিস্ময়ের সংগে তার মা'কে জিজ্ঞেস করলো " মা, কী হয়েছে?"
মা তার কান্না থামিয়ে একটু হেসে বললেন " না, কিছুই না, শুধু কম্পিউটারে আমার টাইপিংয়ের গতি দ্রুত নয় তাই মন খারাপ। সেজন্য হয়তো আমার চাকরীও চলে যেতে পারে"।
ছেলেটি বললো মা, " কিন্তু তুমিতো মাত্র তিন দিনের জন্য কাজ করছেন"। ছেলেটি আরো বললো, ' মা , তুমিতো আমার লেখাপড়ায় ঝামেলা হলে অনেক উত্সাহ দিয়েছো। একইভাবে তোমারও এ ব্যাপারে আরও বেশি চেষ্টা করা উচিত"। তাহলে তুমিও পারবে।
মা বললো " না বাবা, আমার হাতে সময় খুব কম। শুধু আমার জন্য অফিসের অন্য সহকর্মীদের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি কাজ করতে হবে"।
ছেলেটি বললো " আমি বিশ্বাস করি না যে, তারা আপনাকে বেশি কাজ দিয়েছেন"।
মা তখন বললো " না, তারা বেশি দেয় নি। এটা সত্যিই আমার নিজের দোষ"।
কয়েক দিন পর, মা আবারও ছেলেটিকে বললো –
" শোন ছেলে, মা হয়তো একজন খারাপ মুদ্রক্ষরিক। তবে ভবিষ্যতে আমি অন্য কোন কাজ করার জন্য আরও বেশি প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো"।
এর আট দিন পর, ছেলেটির মা পোষাক পরিচ্ছদ বিক্রীর কাজ শুরু করে। এ ক্ষেত্রে তিনি অনেক প্রশংসা পেয়েছেন। তবে তিনি তার কম্পিউটার টাইপিং-এর চেষ্টা করেই যাচ্ছেন।
উপসংহার: এ গল্প থেকে আমরা বুঝতে পেরেছি যে, একনিষ্ঠ সাধনার ফল কখনোই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয় না। --ওয়াং হাইমান
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |