Web bengali.cri.cn   
আর্থিক সংকটের মোকাবিলায় চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে
  2010-03-01 17:05:06  cri
২০০৯ সালে আর্থিক সংকট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে । বিশ্বের অর্থনীতি অচলাবস্থায় রয়েছে । চীন সক্রিয় ব্যবস্থা নিয়ে আর্থিক সংকটের মোকাবিলা করেছে এবং ২০০৯ সালে দেশের জি ডি পি ৮.৭ শতাংশের বৃদ্ধির হার বজায় রেখেছে । চীন বিশ্বের অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে । পাকিস্তানের বিভিন্ন মহল চীনের অর্থনৈতিক সাফল্যের উচ্চ মূল্যালয় করেছে ।

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের চীন বিসয়ক ব্যুরোর শীর্ষ নেতা জাফারুদ্দিন চীনের সাংহাইয়ে পাকিস্তানের কন্সুলেট হিসেবে কাজ করেছেন । চীন সম্পর্কে তিনি ভালোভাবে জানেন । তিনি স্বচ্ছন্দ চীনা ভাষায় আর্থিক সংকটে চীনের দ্রুত প্রতিক্রিয়ার প্রশংসা করেছেন । তিনি বলেন :

আমার মনে হয় , চীনের নেয়া সব ব্যবস্থা খুব সময় মত । যখন অন্যান্য দেশ আর্থিক সংকটের বিষয় নিয়ে গবেষণা করছে , তখন চীন আনুষ্ঠানিকভাবে অর্থনীতি চাঙ্গা করার ধারাবাহিক পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে । চীন কার্যকরভাবে অর্থনৈতিক নীতি ব্যবহার করেছে । যদিও ২০০৯ সালে চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিমাণ কিছুটা কমেছে । তবে দেশের জি ডি পি অনুমানের চেয়ে ভালো । এ থেকে জানা যায় , চীনের নেয়া ব্যবস্থা সত্যিক কার্যকর হয়েছে ।

চীনা মেয়ে ছুং লিন পাকিস্তানে ১৪ বছর ধরে আছেন। এখন তিনি ও তার স্বামী ইসলামাবাদে একটি চীনা খাবার রেস্তোঁরা পরিচালনা করছেন । গত বছরের আর্থিক সংকট সম্পর্কে ছুন লিন বলেন , পণ্য দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির কারণে তার ব্যবসা আগের চেয়ে অনেক খারাপ হয়েছে । কাছাকাছি কিছু কিছু রেস্তোঁরা খোলার পর খুব তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়েছে । কানাডা এবং ব্রিটেনে তার আত্মীয়ও চাকরি হাঁরিয়েছে । তবে দেশে তার আত্মীয়রা এমন সমস্যার সম্মুখীন হয় নি । তাই আর্থিক সংকটের মোকাবিলায় চীনের নেয়া ব্যবস্থা সম্পর্কে ছুং লিনের অনুভূতি অনেক গভীর । তিনি বলেন :

আমার মনে হয় , চীন সময় মত মোকাবিলার ব্যবস্থা নিয়েছে । যখন এ বড় আর্থিক সংকট সার্বিকভাবে চীনের ওপর আঘাত হয় নি , তখন চীন প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়েছে । বিশেষ করে দেশের মাঝারি ও ছোট আকারের শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য এসব ব্যবস্থা শক্তিশালিভাবে তাদের স্বার্থ রক্ষা করেছে । চাকরি হাঁরার হার অনেক কমেছে । সমাজের ওপর আর্থিক সংকটের নেতিবাচক প্রভাবও দুর্বল হয়েছে ।

পাকিস্তানের কৌশল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান তানভির আহমাদ খান মনে করেন , আর্থিক সংকট মোকাবিলায় চীনের নেয়া নীতির কারণে চীনের অর্থনীতি সবচেয়ে দ্রুত গতিতে পুনরুদ্ধার হয়েছে । তা বিশ্বের অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের জন্যও অনেক সহায়ক । তিনি বলেন :

আর্থিক সংকট সম্প্রতি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যপারের অন্যতম । তা প্রমাণ করেছে যে চীনের অর্থনৈতিক নীতি বিশ্বের যে কোনো প্রধান অর্থনৈতিক গোষ্ঠীর চেয়ে যুক্তিযুক্ত । যখন পাশ্চাত্ দেশগুলোর অর্থনীতি মন্দা হয়েছে , চীন এতেও প্রভাবিত হয়েছে । তবে চীন ভালোভাবে আর্থিক সংকট মোকাবিলা করেছে এবং প্রথমে এ সংকটের ছায়া থেকে বেড়িয়ে এসেছে । এ ছাড়া , এ সংকট প্রমাণ করেছে যে চীন এখন বিশ্বের বড় অর্থনৈতিক দেশ । ইউরোপ , আমেরিকা ও এশিয়ার দেশগুলো চীনের কাছে সাহায্য চেয়েছে । চীন খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে । রাজনীতি ও অর্থনীতি ক্ষেত্রে যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত চীন ছাড়া নেয়া হবে না ।

গত বছরে চীনের অর্থনীতির উন্নয়নকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তনি বলেন , বিশ্বের অর্থনীতিতে চীন অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে । আর্থিক সংকটের মোকাবিলায় পাকিস্তানকে চীনের দেয়া সাহায্যের জন্য তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন । তিনি আশা করেন দু'দেশ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করবে । তিনি বলেন :

আসলে বিশ্বের তৃতীয় বহত্তম অর্থনৈতিক গোষ্ঠী হিসেবে চীন বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে । পাকিস্তানসহ গোটা বিশ্বের অর্থনীতির ওপর আর্থিক সংকট নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে । তবে চীন সরকারের নেতৃত্বাধীন চীনের আর্থিক দলের চেষ্টায় চীনের অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে । খুব কঠিন সময়ে চীন অন্যান্য দেশকেও সাহায্য দিয়েছে । আমরা চীনকে কৃতজ্ঞতা জানাই । কারণ যখন বিশ্বের অর্থনীদি মন্দা হয়েছে , চীন প্রথমে পাকিস্তানকে সাহায্য দিয়েছে । আমরা নতুন বছরে চীন আরো বড় সাফল্য অর্জনের কামনা করি ।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040