|
তিনি মনে করেন , গত ৬০ বছরে চীনের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে । গত শতাব্দীর ৭০ দশকের উন্মুক্তকরণ ও সংস্কার নীতি চালু হওয়ার পর থেকেই চীন অনেক শক্তিশালী হয়েছে । তিনি বলেন :
নয়া চীন প্রতিষ্ঠার ৬০ বছরে চীনের বিরাট পরিবর্তন ঘটেছে । আমরা দেখেছি , চীন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের পরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে । লোকজনের মধ্যে সবচেয়ে গভীর ছাপ ফেলেছে যে বিষয়টি তা হল ২০০৮ সালের পেইচিং অলিম্পিক গেমস । পেইচিংয়ের সাফল্যের সঙ্গে ২০০৮ সালের অলিম্পিক গেমস আয়োজন করা মানে চীনের উন্নয়নের বিরাট সাফল্য অর্জিত হওয়া । অলিম্পিক গেমসের মাধ্যমে লোকজন সত্যিকারভাবেই চীন সম্পর্কে জানতে পেরেছে ।
সুদ্রাজাত চীনা জনগণের জীবনযাপনের মান উন্নয়নের জন্য চীন সরকারের সুষম সমাজ গড়ে তোলার চেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন । তিনি মনে করেন , চীন ইতোমধ্যেই অনেকে দেশের দৃষ্টান্ত হয়েছে । তিনি বলেন ;
চীনের নেতারা বরাবরই জনগণের স্বার্থের ওপর গুরুত্ব দেন । চীনের উন্নয়ন হল জনসাধারণের জীবনের উন্নয়ন করা । জনগণের কর্মসংস্থানের চাহিদা মেটানো , জনসাধারণকে সার্বিক সুবিধা দেয়া এবং তাদের স্বার্থের ওপর যথাযথ গুরুত্ব দেয়া । একই সংগে তাদের শিক্ষা ও আয় বাড়ানো । চীন সরকার সবসময় জনসাধারণকে সেবা দেয়ার বিষয়টিকে কাজের কেন্দ্রস্থলে রাখে । বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ থেকে অনেক শিখতে পারে ।
চীন ও ইন্দোনেশিয়া সুপ্রতিবেশী দেশ । নিজ অঞ্চলে দু'দেশের প্রভাব শক্তি বিশাল । ইন্দোনেশিয়া ও চীনের সম্পর্ক সম্পর্কে সুদ্রাজাত বলেন , ২০০৫ সালের এপ্রিলে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও চীনের প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরিত "ইন্দোনেশিয়া-চীন কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক ঘোষণা" কার্যকর হওয়ার পর দু'দেশের সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ ও সম্প্রসারিত হয়েছে । দু'দেশের বাণিজ্যিক মূল্য প্রতি বছর ২৪ থেকে ৩০ শতাংশের গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে । দু'দেশের মানবসম্পদ বিনিময়ও ঘনিষ্ঠ হয়েছে । তিনি বলেন ;
কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্কের অর্থ হল দু'দেশ হলো দু'টি গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু , ভবিষ্যতের বন্ধু , যৌথভাবে উন্নয়নের বন্ধু এবং যৌথভাবে নিরাপত্তা রক্ষার বন্ধু । ২০০৬ সালে চীনে আসার পর আমি উপভোগ করতে পারি যে, দু'দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন অনেক গভীর , উন্নয়নের ভবিষ্যত অনেক উজ্জ্বল । উন্নয়নের সুযোগও অনেক বেশি ।
ইন্দোনেশিয়া হল আসিয়ানের বৃহত্তম অর্থনৈতিক গোষ্ঠী । চীন-আসিয়ান মেলার সচিবালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী , ইন্দোনেশিয়া সরকার সম্প্রতি ধারাবাহিক নীতি ও ব্যবস্থা প্রণয়ন করেছে । যাতে দু'দেশের মধ্যে প্রতিবছর আয়োজিত চীন-আসিয়ান মেলা সম্পর্কিত কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা যায় । তিনি বলেন ;
ইন্দোনেশিয়া সবসময় সক্রিয়ভাবে চীন-আসিয়ান মেলায় অংশ নেয় । তা হল একটি বিরাট মঞ্চ । আসিয়ানের বিভিন্ন দেশ এবং চীনের শিল্প প্রতিষ্ঠান এ মেলায় বিনিময় করতে পারে এবং আঞ্চলিক বাণিজ্য জোরদার করতে পারে । এইটও একটি মাইলফলক । তা চীন ও আসিয়ানের বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক বিনিময় ও সহযোগিতাকে ত্বরান্বিত করেছে ।
ইন্দোনেশিয়ার কথা উল্লেখ করলে সবার মনে পড়ে আজ থেকে ঠিক ৫৫ বছর আগে বানদুংয়ে অনুষ্ঠিত এশিয়া ও আফ্রিকার সম্মেলনের কথা । এ সম্মেলনে উত্থাপিত বিভিন্ন দেশের সম্পর্ক মোকাবিলার দশটি নীতি ন্যায়সংগত আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও অর্থনীতির নতুন শৃংখলা প্রতিষ্ঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি স্থাপন করেছে । এখন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটছে । সুদ্রাজাত মনে করেন , চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাওয়ের উত্থাপিত সুষম বিশ্বের ধারণা খুব গুরুত্বপূর্ণ । তিনি বলেন ;
সুষম হল অন্যকে সম্মান করা । আমি আশা করি আসিয়ান , এশিয়া ও ইউরোপ সম্মেলন দীর্ঘস্থায়ী হবে । তা বিভিন্ন দেশের জন্য সংলাপের একটি মঞ্চ এনে দেবে । যোগাযোগ ছাড়া উপলব্ধি করা কখনই সম্ভব নয়।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |