|
সমুদ্রের অতল গভীরে একদিন একটি কাঁকড়ার সংগে একটি গলদা চিংড়ির দেখা হয়ে যায় । কাঁকড়াটি দেখে যে, গলদা চিংড়ি তার শরীরের খোলস খুলে ফেলে দিয়েছে । এতে তার শরীরটা একেবারে উদোম দেখাচ্ছে । সে খুব অবাক হলো । চিংড়িকে সে জিজ্ঞেস করলো, ওহে চিংড়ি, তুমি তোমার খোলস কেন খুলে ফেলেছো ? তোমার দেহের এখন কোন নিরাপত্তা নেই । তোমার কি ভয় লাগে না । সমুদ্রেতো অনেক বড় বড় মাছ রয়েছে । তারাতো তোমাকে একনিমিষেই খেয়ে ফেলতে পারে ?
গলদা চিংড়ি একটু ভেবে বললো, তুমি অনেক যত্নের সাথে আমার নিরাপত্তার কথা ভাবছো, তা দেখে আমি সত্যিই খুব খুশি হয়েছি । বন্ধু তোমাকে অনেক ধন্যবাদ । আসলে তুমি জানো না যে, আমাদের বড় হওয়ার প্রক্রিয়ায় জন্মের পর একটু বড় হলেই আমাদেরকে আমাদের শরীরের খোলসটি ফেলে দিতে হয় । এটাই নিয়ম । আমি জানি, হয়তো আমি এখন বিপদের সম্মুখীন । তাহলে কি হবে, আমাকে এসময় একটু সতর্ক থাকতে হবে । ভবিষ্যতে আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠা এবং নিজের নিরাপত্তাকে আরো সংহত করার জন্য আমাকেতো প্রস্তুতি নিতে হবে । তাই এখন আমার এ অবস্হা । এটা খুব বেশি দিনের জন্য নয় ।
এ কথা শোনার পর কাঁকড়াটি অনেক চিন্তায় পড়ে গেল । সে ভাবলো আমিতো সারাদিন এমন জায়গায় থাকি যা সাময়িকভাবে নিরাপদ । বাইরে বের হলেইতো বিপদ ।
আসলে কাঁকড়াটি কখনোই তার ভবিষ্যতের কথা ভাবে নি । তাই তার নিজের বড় হয়ে ওঠা এখন তার কাছে অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ।
প্রিয় বন্ধুরা, এ গল্পটি থেকে আপনারা কি শিখতে পেরেছেন ? মূলত: এ গল্পে বলা হয়েছে যে, নিজের গন্ডির মাঝে বসে থাকলে অনেক কিছু করা সম্ভব নয় । কিছু একটা করার জন্য নিজের গন্ডির বাইরে বেড়িয়ে যেতে হয় । সংগ্রাম ও চ্যালেন্জের মুখোমুখি হতে হয় । আর এ জন্য নিজেকে তৈরি করতে হয় যুগোপযুগী করে । কথায় আছে না কষ্টের পর কেষ্ট মেলে । আর এভাবেই জীবন ক্ষেত্রে বেশি বেশি সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয় । ------------ওয়াং হাইমান
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |