|
তিনি আরো বলেন , ১৯৪৯ সালে চীন ছিল একটি দরিদ্র ও পশ্চাদপদ দেশ। ৬০ বছরে চীন একটি দরিদ্র ও পশ্চাদপদ দেশ থেকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশে পরিণত হয়েছে । এটা এক বিস্ময়কর ব্যাপার । কিন্তু কিছু পাশ্চাত্য দেশ চীনের অর্থনীতির দ্রুত উন্নয়নের সমালোচনা করছে । পিয়েরে পিকুয়াট বলেন , পাশ্চাত্য দেশের কিছু মানুষ চীন একটি শক্তিশালী দেশ হওয়ার আশংকা করেন । ঠিক এই কারণে পাশ্চাত্য দেশের কিছু গবেষক ও তথ্য মাধ্যম চীনের উন্নয়ন সম্পর্কে বাস্তব মনোভাব পোষন করতে পারেন নি । চীনা জনগণ দেশের উন্নয়নে উপকৃত হয়েছেন । অর্থনীতির উন্নয়নের ফল শুধু আমদানি ও রপ্তানি পরিমান , মাথাপিছু উত্পাদন মূল্যে প্রকাশিত হয় নি , অবকাঠামো নির্মাণ , দেশের শিক্ষাগত মান , জনগণের জীবনযাত্রার মান আর গোটা সমাজের উন্নয়নেও পরিলক্ষিত হয় । উন্নয়নের কল্যানে চীন কিছু উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সাহায্য করতে পারছে ।
পাশ্চাত্য দেশের কিছু লোক চীনের হুমকির কথাও প্রচার করছেন । এ প্রসঙ্গে পিয়েরে পিকুয়ার্ট মনে করেন , চীন শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথ বেছে নিয়েছে । এটা উন্নয়নের একটি নতুন পদ্ধতি । তিনি বলেন , চীন শান্তিপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে , এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে এবং অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করার নীতি অনুসরণ করছে । পশ্চিমা দেশ চীনের উন্নয়ন সম্পর্কে বাস্তব মনোভাব পোষণ করলে চীনের উন্নয়ন পদ্ধতির উপকার বুঝতে পারবে । জিওপলিটিশান হিসেবে পিয়েরে পিকুয়ার্ট মনে করেন , আন্তর্জাতিক মঞ্চে চীনের প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে । এখন আন্তর্জাতিক বিষয়াদিতে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের একটি উপযুক্ত সময় । তিনি বলেন , চীন আন্তর্জাতিক ব্যাপারগুলোতে ক্রমেই আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে । চীন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্য হয়েছে , আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠার আলোচনায় অংশ নিচ্ছে এবং সক্রিয়ভাবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর কাজে অংশ নিয়েছে । বিশ্ব আর্থিক সংকটের অসুবিধাজনক প্রভাব দূর করার ব্যাপারে চীন সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে ।
পিয়েরে পিকুয়ার্ট চীনের পেশ করা সুষম বিশ্ব গড়ে তোলার ধারণার প্রশংসা করেন । তিনি মনে করেন , সুষম বিশ্ব গড়ে তোলা বিশ্বের জন্য কল্যান নিয়ে আসবে । তিনি বলেন , যদিও পাশ্চাত্য দেশগুলোর তথ্য মাধ্যমগুলো সুষম উন্নয়ন পদ্ধতির উপকার এখন পুরোপুরিভাবে উপলব্ধি করতে পারছে না , তবে এ ধরনের উন্নয়ন ধারণা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের সামঞ্জস্য নিয়ে আসবে ।
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |