Web bengali.cri.cn   
নয়া চীনের প্রতিষ্ঠা বিশ্ব ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করেছে
  2010-02-01 15:39:32  cri
সম্প্রতি পাকিস্তানের রণকৌশল গবেষণাগারের উদ্যোগে চীন ও পাকিস্তানের সম্পর্কের ওপর একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে । পাকিস্তানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নওয়াবজাদা মালিক আমেদ খান ও পাকিস্তানে চীনের রাষ্ট্রদূত লো চাও হুইসহ এক শ'রও বেশি পদস্থ কর্মকর্তা ও পন্ডিতগণ এ আলোচনা সভায় অংশ নিয়েছেন । পাকিস্তানের রণকৌশল গবেষণাগারের মহাপরিচালক তানভির আহমেদ খান বলেন , নয়া চীনের প্রতিষ্ঠা বিশ্ব ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা । তিনি পাকিস্তান ও চীনের ঐতিহ্যিক মৈত্রীর জন্য গর্ববোধ করেন । তিনি বলেন , ১৯৪৯ সাল চীনের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর । নয়া চীনের প্রতিষ্ঠা বিশ্বের ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করেছে । আজ বিশ্বের একটি নবোদিত অর্থনৈতিক গোষ্ঠী হিসেবে আগামী বিশ থেকে ত্রিশ বছরের মধ্যে চীন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশে পরিণত হতে পারে এবং বর্তমান শতাব্দী অথবা আগামী শতাব্দীতে বিশ্বের একটি পরিচালক দেশে পরিণত হবে ।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নওয়াবজাদা মালিক আমেদ খান বলেন , পাকিস্তান ও চীনের সার্বক্ষণিক মৈত্রী সম্পর্ক সময় ও ইতিহাসের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে , এ সম্পর্ক যুগ যুগ ধরে সম্প্রসারিত হবে । তিনি বলেন , আন্তর্জাতিক , আঞ্চলিক ও দু' দেশের অভ্যন্তরীন পরিস্থিতিতে যে কোনো পরিবর্তনই ঘটুক না কেন , পাক-চীন মৈত্রী স্থিতিশীলভাবে বিকশিত হবে । আমাদের সম্পর্কের সুগভীর গণ ভিত্তি রয়েছে । পাকিস্তানের জনগণ চীনের পরিশ্রমী ও সহানুভূতিশীল জনগণের প্রতি ভ্রাতিপ্রতিম মনোভাব পোষণ করেন।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক মহাসচিব আকরাম জাকি মনে করেন , পাকিস্তান ও চীন দু'টি সুপ্রতিবেশী দেশ । আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির যে কোনো পরিবর্তন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্থিতিশীল উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না । আমাদের সম্পর্ক ভিন্ন সমাজ ব্যবস্থার দুটি দেশের সম্পর্কের দৃষ্টান্ত হয়েছে । চীন এখন পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারি দেশ , পাকিস্তানও চীনের উন্নয়ন থেকে অভিজ্ঞতা নিয়েছে । তিনি বলেন ,  ১৯৪৯ সালে চীন বিশ্ব ইতিহাসের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে । চীন ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দিকে স্থিতিশীল আর অর্থনৈতিক দিকে সমৃদ্ধ এমন একটি আন্তর্জাতিক প্রভাবসম্পন্ন দেশে পরিণত হয়েছে । পাকিস্তান ও চীনের মৈত্রী ও সহযোগিতা স্থিতিশীলভাবে বিকশিত হচ্ছে । পাকিস্তানকে চীনের উন্নয়নের অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে হবে ।

পাকিস্তানের রণকৌশল গবেষণাগারের চীন সম্পর্কিত গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান ফজল -উর রহমান বলেন , নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পর চীন সব সময় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচটি নীতি ও পারস্পরিক কল্যাণের ভিত্তিতে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক পরিচালনা করে আসছে । চীনের পররাষ্ট্র নীতিতে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচটি নীতি এবং সুষম সমাজ ও বিশ্ব গড়ে তোলার উদ্দেশ্য আঞ্চলিক রাজনৈতিক ও কৌশলগত পরিবেশ সৃষ্টি করা । তিনি বলেন , চীন নমনীয় সুপ্রতিবেশীসুলভ নীতি কার্যকরে বিশ্বাসী । এ নীতির উদ্দেশ্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা , প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানো এবং আঞ্চলিক একীকরণকে সমর্থন দেয়া । একটি আরো সুষম পারিপার্শ্বিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য চীন প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে অভিন্ন নিরাপত্তা ও স্বার্থ অন্বেষণের চেষ্টা করছে ।

পাকিস্তানে চীনা রাষ্ট্রদূত লো চাও হুই আলোচনা সভায় নয়া চীন প্রতিষ্ঠার ৬০ বছরে অর্জিত সাফল্য বর্ণনা করে বলেছেন , মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানই সর্বপ্রথমে চীনকে স্বীকৃতি দিয়েছে । পাকিস্তান অনেক আন্তর্জাতিক বিষয়ে চীনকে সমর্থন করেছে । বিভিন্ন বড় বড় বিষয়ে পাকিস্তান সবসময় চীনের পাশেই থাকছে । পাকিস্তানের সমর্থন ও সহযোগিতা ছাড়া আমরা এত অনুকূল পারিপার্শ্বিক পরিবেশ পেতাম না । তিনি আরো বলেন , পাকিস্তান চীনের সবচেয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভ্রাতৃপ্রতিম প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমাদের অনেক সাহাযো দিয়েছে । পরবর্তীকালে আমরা রাজনীতি , অর্থনীতি , বিদেশের সঙ্গে সম্পর্ক , সংস্কৃতি ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা অব্যাহতভাবে আরো বাড়ানোর চেষ্টা করবো এবং দু'দেশের ঐতিহ্যিক মৈত্রীকে যুগ যুগান্তর ধরে প্রসারিত করবো ।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040