|
তবে তাঁর দুঃখ হচ্ছে রাতের বাতাসে এ সব ঝকঝক কাঠের পাত্র ধুলি ধূসরিত হয়ে মাটিতে পড়ে আছে।
এ দেখে ছোট্ট ছেলের খুব দুঃখ পায়। বাবা ছেলের মাথা ঠান্ডা রাখতে বলেন : আমার ছেলে দুঃ করবে আ, আমরা বাতাস নিয়ন্ত্রণের উপায় খুঁজে বের করারর চেষ্টা করবো"।
বাবার কথা শুনে ছেলে তার কান্না ভুলে , কাঠের পাত্রের কাছে বসে বাতাস ঠেভানোর উপায় নিয়ে ভাবতে থাকে। অবশেষ ছোট্ট ছেলে একটি ভাল উপায় খুঁজে পায়। সে সব খালি কাঠের পাত্রের ভেতরে পানি দিয়ে ভরে রাখে। তারপর ছোট্ট ছেলে বাড়িতে ফিরে যায়।
দ্বিতীয় দিন ভোরে এ কাঠের পাত্র দেখার জন্য ছোট্ট ছেলে খুব ভোবে থেকে ওঠে সেখানে যা। কাঠের পাত্রগুলো দেখে ছোট্ট ছেলে অনেক আনন্দিত। কারণ এ কাঠের পাত্র সব পরিষ্কার এবং ঠিকঠাকভাবে বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। ছোট্ট ছেলে বাবাকে বলে " কাঠের পাত্র বাতাসে যেতে ভেঙে না যায়, সে জন্য কাঠের পাত্রের নিজের ওজন বাড়ানো দরকার"। ছেলের কথা শুনে বাবার হাসি আর নাসে না।
বন্ধুরা, আমরা বাতাসসহ এ বিশ্বের অনেক জিনিসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। তবে আমরা নিজেরাই নিজেকে পরিবর্তন করতে পারি। নিজের সামর্থ্য ও আমাদের মনোভাবেরও পরিবর্তন করতে পারি। যদি নিজের দক্ষতার উন্নয়ন করতে পারি , তাহলে সহজেই অন্যকে পরাজিত করা সম্ভব হবে।–ওয়াং হাইমান
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |