|
"গত সেপ্টেম্বরে, চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদ 'সাংস্কৃতিক শিল্প পুনরুদ্ধারের কর্মসূচী প্রবর্তনের পর সাংস্কৃতিক শিল্প চীনের জাতীয় অর্থনীতি উন্নয়নের কৌশলগত শিল্পে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ চীন পেইচিং সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল শিল্প মেলার সাফল্যের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়ে তা শিল্প পণ্য বিনিময় ও প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্মে পরিণত হওয়ার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক সৃজনশীল পণ্য বাজারায়ন, শিল্পায়ন ও বিশ্বায়নের জন্য বিপুল উন্নয়নের ভবিষ্যত সৃষ্টি করবে। আমি বিশ্বাস করি যে, এ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে চীন ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যকার সমঝোতা ও যোগাযোগ জোরদার, বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি শিল্পপতিদের আরও বেশি ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি এবং চীন ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাংস্কৃতিক শিল্প সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
এবারের অনুষ্ঠানের অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এ মেলায় অংশগ্রহণকারী বিদেশী প্রতিনিধি দল ও দর্শনার্থীর সংখ্যা অতীতকালের তুলনায় সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, জার্মানি, স্পেন, অস্ট্রিয়া, পোল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া চিলিসহ ৩০টি দেশ ও অঞ্চলের ৪৮টি প্রতিনিধি দল এতে অংশগ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ এই প্রথমবারের মতো চীন পেইচিং সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল শিল্প মেলায় অংশ নেয়।
২৭ নভেম্বর সকালে বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী প্রমদ মনকিন এ মেলায় বাংলাদেশ প্যাভেলিয়ন উদ্বোধন করেছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী প্রমদ মনকিন বলেন,
চীন ও বাংলাদেশের মৈত্রির সুদীর্ঘকালের ইতিহাসে দু'দেশের সরকার ও জনগণের মধ্যেকার আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে রয়েছে সম্প্রীতির এক সুষম বন্ধন। এ ধরনের মেলা আয়োজন ও বিভিন্ন ক্ষেত্রের পারষ্পরিক বিনিময়ের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতে দু'দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে
মেলায় বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী কুটির শিল্প, জামদানী শাড়ী ও সংগীতের বাদ্যযন্ত্রসহ বিভিন্ন চিত্র শিল্পীর শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে। যা অনেক দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তারা বলেছেন, শুধু বই পড়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে কিছু তথ্য পেয়েছেন। সেখানকার রীতিনীতির সম্পর্কেও বেশি কিছু জানেন না তারা। এবারের এ মেলায় যে বাংলাদেশ প্যাভেলিয়নের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যময় জিনিসপত্র দেখেছেন, তা খুব মজার। পেইচিংয়ের নাগরিক লি সিউ মেই তার ৫ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে মেলার ঘুরে দেখেছেন। তার ছেলের বাংলাদেশের সেতারের ওপর আগ্রহ সৃষ্টি হয়। লি সিউ মেই বলেছেন,
"এটি একটি সুযোগ। এমন সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। আমার ছেলের দৃষ্টিকোণ বাড়ানোর জন্য আমরা এ মেলা দর্শনে এসেছি । আমাদের ছোটবেলায় এমন সুযোগ ছিল না। সেজন্য মনে হয় আমাদের জ্ঞানের অভাব ছিল। এসব জিনিস আমাদের দেখা হয় নি। আমার ছেলে কিন্ডার গার্টেন পড়ে। আজ তার ক্লাস থাকলেও আমি তাকে এখানে নিয়ে এসেছি। আমার মনে হয়, নিজের চোখে দেখলে বই পড়ার চেয়ে মনে বেশি ছাপ পড়বে।"
চতুর্থ চীন পেইচিং সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল শিল্প মেলায় বাংলাদেশের প্রথম অংশগ্রহণ দু'দেশের সহযোগিতার নতুন সূচনা করেছে। এ সম্পর্কে চীনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য উন্নয়ন পেইচিং উপ-পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নি ইউয়ে খাং বলেন,
"বাংলাদেশের প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এ মেলায় এসেছেন এবং স্টল স্থাপন করেছেন বলে আমরা খুব খুশি হয়েছি। এটি দু'দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের জন্য একটি ভালো সূচনা। ভবিষ্যতে এ ক্ষেত্রের দু'দেশের সহযোগিতা আরও জোরদার হবে বলে আমি আস্থাবান। (ওয়াং তান হোং)
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |