যে সব পোঁকা মাকড় উড়তে পারে তার মধ্যে ভীমরুলের ওড়ার ধরণ একটি ব্যতিক্রম। কয়েকজন পাণীবিদ একসাথে পোঁকা মাকড়ের উড়া নিয়ে গবোষণা করেছেন। গবেষণার পর একটি ফলাফল প্রকাশ করেছেন তারা , যে সব পোকা উড়তে পারে সে সব পোকামাকড়ের মরীর নিশ্চয়ই হালকা এবং তার পাখাও লম্বা। ঠিক এ সময় কয়েকটি ভীমরুল সরাসরি সামনে উড়ে চলে আসে। সকল পোঁকা মাকড়ে এ অবস্থা দেখে চুপচাপ হয়ে যায়, অনেকের কাছে তা নাজুক।

সুতরাং, তারা একটি ভীমরুল নিয়ে একজন পদার্থবিজ্ঞানীকে জিজ্ঞেস করেন " কেন ভীমরুল উড়তে পারে?"। এ পদার্থবিজ্ঞানী ভীমরুল দেখেও বুঝতে পারেন না , এতো মোটা শরীর এবং ছোট্ট পাখা কেন উড়তে পারে?। এটি অবর্ণনীয়। সংশ্লিষ্ট যৌক্তিকতা অনুযায়ী, সে উড়তে পারে না।

এ অবস্থার প্রেক্ষাপটে তারা পুনরায় একজন সমাজবিদের কাছে আসে এ সমস্যা জিজ্ঞেস করেন। তাদের কথা শোনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ সমাজবিদ হেসে দিয়ে বলেন, " কি , এটি কি একটি সমস্যা ?" এর উত্তর অনেক সহজ। এর কারণ হচ্ছে ভীমরুলকে উড়তে বাধ্য হতে হয়। না হলে ভীমরুলকে শুধু মারা যাওয়াকেই বাছাই করতে হবে। সৌভাগ্য , ভীমরুল জীববিদ্যা বুঝতে পারে না। না হলে হয়তো ভীমরুল উড়তে ভয় পেতো।

এ গল্প থেকে আমরা বুঝেছি যে, আমাদের জীবনে অভিজ্ঞতা ও বিজ্ঞান সত্যি আমাদের সম্পদ। যা সাফল্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। তবে মাঝে মাঝে এটি একটি বাধার কারণ হতে পারে। আর তা হলে আমাদের নিজের সৃজনশীল শক্তিকেও আমাদেরই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে আয়োচিত প্রক্রিয়াকে।–ওয়াং হাইমান