|
একজন লেখক তাঁর " চিড়িয়াখানায় দেখা" নামক লেখায় সদ্য প্রসব করা একটি জিরাফের বাচ্চা কীভাবে দাঁড়াতে শেখে সে বিষয়টি বর্ণনা করেছেন।
আসলে একটি জিরাফের প্রসবের প্রক্রিয়া খুবই কষ্টকর । সদ্য প্রসুত জিরাফের বাচ্চাটি তার মায়ের গর্ভ থেকে প্রায় তিন মিটার নিচে মাটিতে পড়ে যায়। কয়েক সেকেন্ড পর ছোট্ট জিরাফটি চোখ মেলে প্রথমবারের মত এ বিশ্বকে দেখতে পারে। কিন্তু ছোট্ট জিরাফের মা খুবই নিষ্ঠুর উপায়ে তার শিশুকে বাস্তব জীবনে নিয়ে আসে।
এ নিষ্ঠুর উপায় হচ্ছে মা জিরাফ তার লম্বা লম্বা পা দিয়ে বাচ্চা জিরাফটিকে লাথি মারতে থাকে। মায়ের এ কঠোর আচরণের পর, ছোট্ট জিরাফটি স্বভাবতই দাঁড়ানোর চেষ্টা করে । ছোট্ট জিরাফটি না দাঁড়ানো পর্যন্ত মা জিরাফ এ নিষ্ঠুর আচরণ অব্যাহত রাখে। ছোট্ট জিরাফটিও দাঁড়ানোর লক্ষ্যে যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যায়। ক্লান্তির কারণে ছোট্ট জিরাফটি হয়তো একটু বিশ্রাম নিতে চায়। তবে মা জিরাফ এ অবস্থা দেখে পুনরায় ছোট্ট জিরাফটির সামনে এসে তাকে লাথি মেরে চেষ্টা করতে বাধ্য করে। অবশেষে ছোট্ট জিরাফটি প্রথমবারের মত তার নিজের দু'টি স্বয় পা নিয়ে দাঁড়িয়ে যায়।
এ সময় মা জিরাফ আরও বেশি অস্বাভাবিক আচরণ করে । সে পুনরায় ছোট্ট জিরাফের সামনে এসে লাথি মারে । কেন? কেন মা জিরাফ এতো অস্বাভাবিক আচরণ করে? তার উদ্দেশ্য হচ্ছে ছোট্ট জিরাফটি যেন নিজেই কীভাবে দাঁড়িয়েছে সে সম্পর্কিত বিষয়টি মনে রাখে। বালুকাময় পতিত জমিতে ছোট্ট জিরাফটিকে নিজের নিরাপত্তা রক্ষার লক্ষ্যে সবচে' দ্রুত গতিতে দাঁড়াতে হবে। কারণ সিংহ এবং নেকড়েসহ হিংশ্র বন্য প্রাণী ছোট্ট জিরাফটি খাওয়ার আক্রমণ করতে পারে। যদি মা জিরাফ নিজের শিশুকে কীভাবে দাঁড়াতে হয় তা শিখিয়ে না দেয়, তাহলে ছোট্ট জিরাফটি সহজেই এসব বন্য প্রাণীর খাওয়ার বস্তুতে পরিণত হবে।
বন্ধুরা, এ গল্প থেকে আমরা বুঝেছি যে, আমাদের জীবনে নিশ্চয় অনেক ক্ষতি ও আঘাতের সম্মুখীন হতে হয়। তবে যদি আপনি প্রত্যেকবার এ ক্ষতি ও আঘাতের সামনে যথাসাথ্য প্রচেষ্টা চালান। তাহলে কোন ক্ষতি ও আঘাত মানুষকে ধ্বংস করতে পারে না।–ওয়াং হাইমান
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |