Web bengali.cri.cn   
জিম্বাবুয়ে চীনের শান্তি , স্থিতিশীলতা ও টেকসই উন্নয়নের প্রশংসা করে
  2009-10-26 21:33:44  cri

    নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পর থেকে চীন বরাবরই আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের দেশ জিম্বাবুয়ের নির্ভরযোগ্য বন্ধু । চীনের অর্থনীতির দ্রুত উন্নয়নের কল্যানে জিম্বাবুয়ে আর্থিক সাহায্য পাওয়া ছাড়াও অনেক অভিজ্ঞতাও অর্জন করেছে। জিম্বাবুয়ের বেশির ভাগ নাগরিক চীনের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন । কিছু দিন আগে সি আর আই সংবাদদাতা জিম্বাবুয়ের আইন মন্ত্রী পেট্রিক চায়নামাসার একটি সাক্ষাত্কার নিয়েছেন । সাক্ষাত্কারে আইন মন্ত্রী পেট্রিক চায়নামাসা ঠাট্টা করে সি আর আই সংবাদদাতা চু মান চুনকে বলেন , জিম্বাবুয়ের অন্যান্য নাগরিককের চেয়ে চীনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ । কারণ আমার নাম পেট্রিক চায়নামাসা । চায়নার পরে মাসা যোগ দিলেই আমার নামের উপাধি হয়ে যায় । কিন্তু চীনের নাম আমার নামের একটি অংশ হলেও এখন পর্যন্ত আমি মাত্র একবার চীন সফরের সুযোগ পেয়েছি । ২০০৩ সালের মার্চ মাসে আমি আইন মন্ত্রী হিসেবে চীন সফর করেছি , এ সফর আমার মনে গভীর ছাপ ফেলেছে । তিনি বলেন , চীনের অর্থনীতির দ্রুত উন্নয়ন নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতাম না । আমি বিশ্বাস করি ,চীন বিশ্ব অর্থনৈতিক মঞ্চের একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তিতে পরিণত হবে । গত ৩০ বছরে চীনের অর্থনীতির দ্রুত উন্নয়ন প্রশংসাযোগ্য । চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান কারণ হলো চীন সরকার অর্থনীতি উন্নয়নের এক উপযুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে ।

    ১৯৮০ সালে জিম্বাবুয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় । সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাশ্চাত্য দেশগুলোর অর্থনৈতিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কারণে জিম্বাবুয়ের উন্নয়ন নানা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে । চায়নামাসা বলেন , চীনের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বুঝতে পেরেছেন , স্বতন্ত্র ও স্বাধীনতা হলো উন্নয়নের পূর্বশর্ত । এ ব্যাপারে জিম্বাবুয়েকে চীনের কাছ থেকে শিখতে হবে । তিনি বলেন , চীনের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছুই শেখার আছে । তবে আমরা জানি দুদেশের উন্নয়নের পথ একই হতে পারে না । এ বছর জিম্বাবুয়ের স্বাধীনতার ৩০তম বার্ষিকী । ১৯৮০ সালে জিম্বাবুয়ের উপনিবেশবাদী শাসনের অবসান ঘটে , তবে আজ পর্যন্ত উপনিবেশবাদী শাসনের প্রভাব পুরোপুরি দূর করা যায় নি । চীনের উন্নয়ন প্রমাণ করেছে যে একটি দেশ পুরোপুরিভাবে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব পাওয়ার পরও নিজ দেশের জ্বালানী সম্পদ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা পাওয়ার আগে সত্যিকার অর্থের উন্নয়ন বাস্তবায়ন অসম্ভব ।

    নয়াচীন প্রতিষ্ঠার পর থেকে চীন সরকার আফ্রিকার বিভিন্ন দেশকে সাহায্য-সহযোগিতা করতে শুরু করে । এটা আফ্রিকার অর্থনৈতিক উন্নয়নকে তরান্বিত করেছে । আইন মন্ত্রী চায়নামাসা এর গভীর মূল্যায়ন করে বলেন , আমি মনে করি আফ্রিকা মহাদেশে চীনের ভূমিকা সক্রিয় ও গঠনমূলক । চীন বরাবরই ক্ষুদ্র ও দুর্বল দেশগুলোকে রক্ষা করে এবং আফ্রিকার দেশগুলোর অগ্রগতিতে আনন্দ বোধ করে । অবকাঠামো নির্মান ও কর্মী প্রশিক্ষণ ক্ষেত্রে চীনের সাহায্য কখনও বন্ধ হয় নি ।

 

    সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠান ক্রমেই আরো বেশি বিনিয়োগ করতে আফ্রিকায় যাচ্ছে এবং চীন ও আফ্রিকার মধ্যে খনি ও কৃষি ক্ষেত্রের সহযোগিতা বাড়ছে । কিছু লোক চীন আফ্রিকায় নতুন উপনিবেশবাদী প্রশাসন প্রতিষ্ঠার কথা প্রচার করছে । চায়নামাসা এ ধরনের প্রচারের বিরোধিতা করেন । তিনি বলেন ,জিম্বাবুয়ে ও চীনের সম্পর্ক হল সমতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত অংশীদারের সম্পর্ক । আমরা জানি জিম্বাবুয়ে একটি ক্ষুদ্র দেশ ,চীন সরকার ও জনগণ জিম্বাবুয়ের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে । জিম্বাবুয়ে চীনের সম্পদ উদ্ধার দ্বিপক্ষীয় চুক্তির কাঠামোতে পরিচালিত হয় । এতে জিম্বাবুয়ে ও চীন দুপক্ষই উপকৃত হয় । আমরা পারস্পরিক কল্যানের এ সম্পর্ককে স্বাগত জানাই এবং জিম্বাবুয়ে আগত সব বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে চাই ।

    আগামী বছর চীন ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৩০ বছর বার্ষিকী । চায়নামাসা আশা করেন আরো বেশি ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে জিম্বাবুয়ের সহযোগিতা বাড়বে । বিশেষ করে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য ক্ষেত্রের সহযোগিতা বাড়বে । তিনি বলেন , জিম্বাবুয়ে ও চীনের মধ্যে রাজনৈতিক ক্ষেত্রের সম্পর্ক বেশি , আমি আশা করি , পরবর্তীকালে দুদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়বে । আমরা চীনের বিনিয়োগকারীদের স্বাগত জানাই । চীন থেকে আমদানি করা যন্ত্রাংশের দাম কম ,গুনগতমান ভালো । তাই আমরা চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কও প্রসার করতে আগ্রহী।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040