আজ রবিবার। নক্ষত্রের রাতে আমি একাই হাঁটছি। দেখছি কোথাও কেউ নেই। আকাশ ভরা মেঘ। ভাবছি মেঘের ওপরে বাড়ি যদি থাকে, তাহলে নিশীথিনীর সৌরভ মেরে মেরে আশাবরি সুর শুনতে পারতাম। দূরে কোথাও গেলে, নন্দিত নরকে আমি এবং আমরা কৃষ্ণপক্ষ রাতে জোছনা ও জননীর গল্প বলেছিলাম, নৃপতির শঙ্খনীল কারাগারের গল্প বলেছিলাম। সেই দিন শ্রাবণ মেঘের দিন, দারুচিনি দ্বীপে আমরা গৌরীপুর জাংশানে গিয়েছিলাম। মনে হয় কে কথা কয়, পরে বুঝলাম মেঘ বলেছে যাবো যাবো। তখন আমাদের ইচ্ছু শুধু মাতাল হওয়া এবং বলা এই সব দিন রাত্রির কথা। এসব পরিচিত পরিচিত নাম দিয়ে একটা ছোট গল্পও বানানো যায়। এটা হলো প্রিয় হুমায়ুন আহমেদের প্রতি তাঁর লেখা দিয়ে সাজিয়েছি ছোট একটা উপহার। তার মাধ্যমে এ জনপ্রিয় লেখককে আমার শ্রোদ্ধা জানাচ্ছি।
সুপ্রিয় শ্রোতা, বাংলাদেশের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ চিরকালের মত চলে গেছেন। তিনি বিংশ শতাব্দীর বাঙ্গালি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তিনি একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার এবং নাট্যকার। বলা হয়, বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের তিনি পথিকৃত্। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও তিনি সমাদৃত। ২০১১ পর্যন্ত তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা দুই শতাধিক। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। অতুলনীয় জনপ্রিয়তা সত্বেও তিনি অন্তরাল জীবন-যাপন করতেন এবং লেখলেখি ও চিত্রনির্মাণের কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখেছিলেন। তাঁর বেশ কিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত।
আজকের খোলামেলা অনুষ্ঠান হুমায়ুন আহমেদকে ঘিরে সাজিয়েছি। অনুষ্ঠানে রয়েছে ইয়াং ওয়েই মিং-স্বর্ণা, শান্তা মারিয়া এবং শিহাবুর রহমান।