|
নিউওয়ারিস জাতি
বাইশ জুলাই প্রকাশিত এএফপি'র এক খবরে জানা গেছে, নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে ট্রাফিক পুলিশ কোনো সন্দেহভাজন মাতাল গাড়িচালককে দেখলে তাকে রাস্তার পাশে থামাবে এবং তার সঙ্গে কথা বলতে বলতে তার মুখের গন্ধ পরীক্ষা করবে। পরীক্ষায় পুলিশ যদি মনে করে কোনো চালকের মুখে মদের গন্ধ রয়েছে তাহলে তাকে শাস্তি দেবে। মদ খাওয়ার মাত্রা অনুযায়ী শাস্তির মাত্রা ভিন্ন হবে। সামান্য মদ্যপ অবস্থায় থাকলে চালককে ১ হাজার নেপালি রুপি জরিমানা করা হবে। তবে গুরুতর মাতাল অবস্থায় থাকলে চালকের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
'নিঃশ্বাসের ঘ্রাণ শুঁকে কেউ মাতাল কিনা তা পরীক্ষা করা' হচ্ছে নেপালি ট্রাফিক পুলিশের জন্য অক্ষমতার আচরণ। দুই মাস আগে দেশটি পুলিশ বিভাগের জন্য বেশ কিছু নিঃশ্বাস পরীক্ষাযন্ত্র আমদানি করেছে। কিন্তু এসব যন্ত্রের মধ্যে অর্ধেকের গুণগত মানের সমস্যা রয়েছে। ঘ্রাণ শুঁকে মদ খাওয়া পরীক্ষা করলে তাতে যন্ত্রের মতো সঠিক ফল পাওয়া যায় না। তাই মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানোর জন্য শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বেশ বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ এ ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
নেপালের ট্রাফিক পুলিশ
জানা গেছে, এ কথিত 'শূন্য সহিষ্ণুতা'র ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ রয়েছে নিউওয়ারিস জাতির। তারা বলেছে, মদ সংস্কৃতি হচ্ছে তাদের মূল সংস্কৃতির অন্যতম। তাদের একজন প্রতিনিধি বলেন, "মদের প্রতি 'শূন্য সহিষ্ণুতা' আমাদের সামাজিক যোগাযোগ ভেঙ্গে দেবে। কয়েক শতাব্দীর ঐতিহ্য এক রাতে অন্তর্হিত হবে।" এ সম্পর্কে নেপালের ট্রাফিক পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেছেন, "শুধু মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানো নিষেধ, মদ নিষেধ নয়।"
এ নতুন ব্যবস্থা কার্যকর করার পর থেকে নেপালে সড়ক দুর্ঘটনা ব্যাপকভাবে কমেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত বছরের প্রথম ৬ মাসে কাঠমান্ডুতে ২৫৩টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু নতুন ব্যবস্থা চালু হওয়ার ৬ মাসে মাত্র ৪৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |