Web bengali.cri.cn   
রেনমিনপি ও ইয়েননের সরাসরি লেনদেন হবে
  2012-06-01 09:37:34  cri

১ জুন থেকে চীনের রেনমিনপি ও জাপানের ইয়েনের মধ্যে সরাসরি লেনদেন চালু হবে। এর মধ্য দিয়ে মার্কিন ডলারের পাশাপাশি ইয়েন রেনমিনপির সংগে সরাসরি লেনদেন চালুর প্রধান বৈদেশিক মুদ্রায় পরিণত হলো। এখন এ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন শুনুন। পরিবেশন করছি আমি শি চিং উ।

চীনের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্র ২৯ মে ঘোষণা করেছে, চীনা গণ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে এ বছরের ১ জুন থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের বৈদেশিক বাজারে রেনমিনপি ও ইয়েনের বিনিময় পদ্ধতি উন্নত করা হবে এবং রেনমিনপি ও ইয়েনের মধ্যে সরাসরি লেনদেন চালু করা হবে।

বর্তমানে অন্যান্য দেশের সংগে মুদ্রার বিনিময়ে চীনে কেবল মার্কিন ডলারের বিপরীতে রেনমিনপির সরাসরি লেনদেন হচ্ছে। এবার কেন ইয়েনের বিপরীতে রেনমিনপির সরাসরি লেনদেন চালু হচ্ছে ? চীনা গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক মুদ্রা গবেষণালয়ের গবেষক ছুই সুয়াং শি বলেন, চীন ও জাপানের নেতাদের দুই দেশের সহযোগিতা জোরদার করে আর্থিক বাজার উন্নয়ন সংক্রান্ত বিবৃতি বাস্তবায়ন এবং বাজারভিত্তিক নীতির আলোকে রেনমিনপি ও ইয়েনের সরাসরি লেনদেনের উন্নয়নকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে এ নতুন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ছুই সুয়াং শি বলেন ,

গত ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিকো নোদার প্রথম চীন সফরকালে চীন ও জাপানের নেতারা দু্ই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করে আর্থিক বাজার উন্নয়ন সংক্রান্ত একটি বিবৃতি স্বাক্ষর করেন। এ বিবৃতির দ্বিতীয় ধারায় বলা হয়, চীন ও জাপানের মধ্যকার মুদ্রার সরাসরি লেনদেন উন্নয়ন করা হবে। তখনকার বিবৃতি বাস্তবায়নের জন্য এখন এ নতুন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা মনে করেন , জাপানী ইয়েনের বিপরীতে রেনমিনপির সরাসরি লেনদেনের সূচনা অর্থনৈতিক সত্তাগুলোর সংশ্লিষ্ট খরচ কমানো ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ত্বরান্বিতকরণের পক্ষে কল্যাণকর হবে এবং একই সময় রেনমিনপির আন্তর্জাতিকীকরণের কৌশলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষেও হিতকর হবে।

বিশ্বের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত অর্থনেতিক শক্তি হিসেবে চীন ও জাপানের মধ্যে অত্যন্ত নিবিড় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক বিনিময় রয়েছে। ২০০৬ সাল থেকে চীন হচ্ছে জাপানের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার এবং পাশাপাশি জাপানও যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ ও আসিয়ানের পর চীনের চতুর্থ বৃহত্তম অংশীদার। ২০১১ সালে চীন ও জাপানের মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ৩৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এটি ২০১০ সালের চেয়ে ১৪.৩ শতাংশ বেশি। ছুই সুয়াং শি বলেন, চীন ও জাপানের এ বিপুল বাণিজ্যের পরিমাণই হচ্ছে দুই দেশের মুদ্রার সরাসরি লেনদেন ত্বরান্বিত করার মৌলিক কারণ। ইয়েনের বিপরীতে রেনমিনপির সরাসরি লেনদেন অনিবার্যভাবে চীন ও জাপানের বাণিজ্যকে ত্বরান্বিত করবে। তিনি বলেন,

চীন ও জাপানের বাণিজ্যের পরিমাণ খুব বেশি। চীন ও জাপানের মুদ্রার মধ্যে সরাসরি লেনদেন চালু হওয়ার পর আমাদের অনুমাণ অনুসারে প্রতি বছর প্রায় ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লেনদেনের খরচ বাঁচানো সম্ভব হবে। দুই দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য এটি একটি ইতিবাচক উপাদান। অন্যদিকে এ নতুন ব্যবস্থার সুবাদে মার্কিন ডলারের বিনিময় হারের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হবে। ছুই সুয়াং শি বলেন, জাপানী ইয়েনের বিপরীতে রেনমিনপির সরাসরি লেনদেনের চালু রেনমিনপির আন্তর্জাতিকীকরণের কৌশলকে ত্বরান্বিতকরণের পক্ষে সহায়ক হবে, তবে এর তাত্পর্যের অতিরিক্ত মূল্যায়ণ করলেও চলবে না। কারণ রেনমিনপির সত্যিকার আন্তর্জাতিকীকরণ বাস্তবায়ন করতে হলে বহু ক্ষেত্রের সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তিনি বলেন,

রেনমিনপির আন্তর্জাতিকীকরণ যেমন একটি অর্থনৈতিক সমস্যা, তেমনি একটি রাজনৈতিক ইস্যুও বটে। কাজেই এ নতুন ব্যবস্থা রেনমিনপির আন্তর্জাতিকীকরণের পথে একটি ক্ষুদ্র পদক্ষেপ মাত্র।

জানা গেছে, ইয়েনের বিপরীতে রেনমিনপির সরাসরি লেনদেন প্রথমে টোকিও ও শাংহাই দুটি বাজারে চালু হবে। আর্থিক সংকটের পর চীন রেনমিনপির আন্তর্জাতিকীকরণের প্রক্রিয়া দ্রুততর করেছে।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040