|
||||||||||||||||||||||||||||
সুপ্রিয় শ্রোতা, এ বছর বাংলা ভাষার অমর কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫১তম জন্মদিন পালিত হচ্ছে। মহান কবির কালজয়ী কবিতা, গান ও অন্যান্য সাহিত্যসৃষ্টির অনবদ্য ও শতাব্দি-উত্তর প্রভাব রয়েছে। আজকের খোলামেলা অনুষ্ঠানে আমরা এ মহান কবির গান ও কবিতা নিয়ে কথা বলব। অনুষ্ঠানে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি ইয়াং ওয়েই মিং স্বর্ণা। আমার সঙ্গে আছেন রবীন্দ্র-সাহিত্যের গবেষক ও অনুবাদক, চীন আন্তর্জাতিক বেতারের প্রবীন কর্মকর্তা জনাব পাই খাই ইয়ুয়ান এবং আমাদের বিভাগের বিশেষজ্ঞ এবং কবি শান্তা মারিয়া।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রচুর গল্প, উপন্যাস আর প্রবন্ধ লিখেছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর সবচেয়ে বেশি খ্যাতি রয়েছে তাঁর অমূল্য কবিতা আর গানের জন্য। তিনি জীবনের প্রথম কবিতা লিখেছেন ৭ বছর বয়সে। তাঁর কবিতা আর গান কত মানুষের মন জয় করেছে। এবং প্রকৃতি ও জীবনের সব কিছু, গাছপালা, সূর্য তারা, সব যেন কবিকে গান ও কবিতা লেখার প্রেরণা দিয়েছে। কবিগুরু এমন একজন মহামনীষী, যিনি নিজেই এই মহাবিশ্বে তাঁর অবস্থান চিহ্নিত করে গিয়েছেন একটি গানের চরণে:
"আকাশভরা সূর্য-তারা, বিশ্বভরা প্রাণ,
তাহারি মাঝখানে আমি পেয়েছি মোর স্থান,
বিস্ময়ে তাই জাগে আমার গান।
অসীম কালের যে হিল্লোলে জোয়ার-ভাঁটায় ভুবন দোলে
নাড়ীতে মোর রক্তধারায় লেগেছে টান,
বিস্ময়ে তাই জাগে আমার গান।"
শতাধিক বছর পরে এসে আজ অসংখ্য চীনা পাঠক তার গান ও কবিতায় প্রভাবিত হয়েছেন।
পাই সাহেব আপনি মোট ৭০ হাজার লাইনের রবীন্দ্রনাথের গান ও কবিতা অনুবাদ করেছেন। বর্তমানকালে চীনা ভাষায় রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও গান অনুবাদের দিক থেকে আপনি বোধ হয় সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন। আমি একটু জানতে চাই, আপনি রবীন্দ্রনাথের গান ও কবিতা থেকে কি প্রেরণা পেয়ে অনুবাদের কাজ শুরু করেছেন এবং আজ পর্যন্ত এ কাজে লেগেই আছেন? শুনুন আজকের অনুষ্ঠানটি।


| © China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |