Web bengali.cri.cn   
চীন এ বছরের বৈদেশিক বাণিজ্য উন্নয়নের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে বদ্ধপরিকর
  2012-05-18 15:40:21  cri

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শেন তান ইয়াং ১৫ মে বলেছেন, এ বছরের বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিস্থিতি এখনো গুরুতর রয়েছে। তিনি সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে যেমন আশাব্যঞ্জক নয়, তেমনি হতাশজনকও নয়। চীন এখনো সারা বছরের নির্ধারিত বৈদেশিক বাণিজ্য উন্নয়নের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে বদ্ধপরিকর। এখন শুনুন এ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন। পরিবেশন করছি আমি শি চিং উ।

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ১৫ মে চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যের সর্বশেষ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চীনের রফতানি ও আমদানির মোট মূল্য দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৬৭ বিলিয়ন ১৮ কোটি মার্কিন ডলারে। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ শতাংশ বেশি। তার মধ্যে রফতানি বেড়েছে ৬.৯ শতাংশ এবং আমদানি বেড়েছে ৫.১ শতাংশ। এ চার মাসে চীনের বাণিজ্যের উদ্বৃত্ত ছিল ১৯ বিলিয়ন ৩০ কোটি মার্কিন ডলার।

শেন তান ইয়াং জানিয়েছেন, এ বছর চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য অপেক্ষাকৃত মন্থর গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এপ্রিল মাসে চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যের মন্থর প্রবৃদ্ধির প্রধান কারণ হচ্ছে বৈদেশিক চাহিদা হ্রাস, অভ্যন্তরীণ উপকরণের খরচ বৃদ্ধি এবং বাণিজ্যিক রেষারেষি বৃদ্ধি। শেন তান ইয়াং বলেন,

বৈদেশিক চাহিদার অবস্থা আমাদের কল্পনার চেয়েও খারাপ ও নিম্নমুখী। বিশেষ করে চীনের শীর্ষ বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে ইইউর চাহিদা দারুণভাবে কমে এসেছে। এপ্রিল মাসে ইইউতে চীনের রফতানি ২ শতাংশ কমেছে। ইইউ চীনের বৃহত্তম বাজার বলে রফতানির এ হ্রাস চীনের সামগ্রিক রফতানির ওপর বড় রকমের প্রতিকূল প্রভাব বিস্তার করেছে। এ মাস নিয়ে ইইউতে চীনের রফতানি একটানা চার মাস ধরে গত বছরের অনুরূপ সময়ের তুলনায় কমেছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিস্থিতি নিম্নমুখী হলেও নবোত্থিত বাজারভূক্ত দেশগুলোর সংগে চীনের রফতানি ও আমদানি দ্রুতভাবে বেড়েই চলেছে। এ বছরের প্রথম চার মাসে রাশিয়ার সংগে চীনের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মোট মূল্য ২৭.৭ শতাংশ বেড়েছে। ব্রাজিলের সংগে চীনের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মোট মূল্য ১৪.৪ শতাংশ বেড়েছে। পাশাপাশি এ বছরের প্রথম চার মাসে মধ্য ও পশ্চিম চীনের রফতানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলাদা আলাদাভাবে ২৩.৬ ও ৩৯.৯ শতাংশ বেড়েছে।

শেন তান ইয়াং বলেন, এপ্রিল মাসের পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে, চীনের আমদানির বৃদ্ধিও হ্রাস পেয়েছে। তার কারণ হচ্ছে অভ্যন্তরীণ চাহিদা হ্রাস, প্রক্রিয়াকরণ বাণিজ্য বৃদ্ধির নিম্নগতি এবং পাইকারি পণ্যের মূল্য হ্রাস। তিনি বিশ্লেষণ করে বলেন, এ বছরও চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিস্থিতি গুরুতর থাকবে। তিনি বলেন,

এপ্রিল মাসে চীনের রফতানি ও আমদানি বৃদ্ধির সামগ্রিক অবস্থা এখনো আমাদের কল্পনার পরিসরে রয়েছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আমরা যেমন আশাবাদী নই, তেমনি হতাশও নই। যদি বিশ্ব অর্থনীতির আরো অবনতি না হয় এবং বৈদেশিক চাহিদার বড় ধরনের পরিবর্তন না ঘটে, তাহলে সারা বছর চীনের বৈদিশিক বাণিজ্য বৃদ্ধি খুব সম্ভবত প্রথমদিকে নিম্নমুখী, মধ্যবর্তী সময় স্থিতিশীল এবং শেষের দিকে উচ্চমুখী থাকবে। সুতরাং চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য উন্নয়ন সংক্রান্ত নীতি ভালোভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে এবং আমাদের নানা ক্ষেত্রের কাজ সুষ্ঠুভাবে চালাতে পারলে, তবে আমরা সারা বছরের নির্ধারিত বৈদেশিক বাণিজ্য উন্নয়নের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে পারবো।

শেন তান ইয়াং বলেন, চীন স্বতস্ফুর্তভাবে নীতিগত নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং বৈদেশিক বাণিজ্য উন্নয়নের পদ্ধতির পরিবর্তনের প্রক্রিয়া দ্রুততর করেছে। এটিও এ বছর চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য বৃদ্ধি হ্রাসের একটি কারণ।

জানা গেছে, এ বছরের প্রথম চার মাসে চীন বাস্তবিকভাবে ৩৭ বিলিয়ন ৯০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের বৈদেশিক পুঁজি ব্যবহার করেছে। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২.৩৮ শতাংশ কমেছে। তার মধ্যে ইউরোপের ঋণ সংকটের কারণে চীনে ইইউর বিনিয়োগ ৩ শতাংশ কমেছে।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040