চীনের কমিউনিস্ট যুবলীগ যুব স্বেচ্ছাসেবক কর্মসূচি শুরু করে ১৯৯৩ সালের শেষ দিকে। ওই বছর ১৯ ডিসেম্বর রেলপথের ২০ হাজার যুবক-যুবতী 'যুব স্বেচ্ছাসেবকের' পতাকা হাতে নিয়ে পেইচিং-কুয়াচৌ রেলপথের যাত্রীদের জন্য সেবাদান শুরু করেন। তাদের প্রভাবে এরপর কলেজ ও মাধ্যমিক স্কুলের ৪ লক্ষাধিক ছাত্র-ছাত্রী শীত্কালীণ ছুটির সময়ে দেশজুড়ে প্রধান প্রধান রেলপথে ও স্টেশনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ শুরু করেন।
উনিশ শ' চুরানব্বই সালের ৫ ডিসেম্বর চীনের যুব স্বেচ্ছাসেবক সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। এ সমিতি চীনের কমিউনিস্ট যুবলীগের পরিচালনায় গঠিত সমাজকল্যাণ ব্রত ও সামাজিক নিশ্চয়তা ব্রতে নিয়োজিত একটি দেশব্যাপী সামাজিক সংগঠন। দেশের বিভিন্ন প্রদেশ, স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ও কেন্দ্রশাসিত মহানগরের যুবক-যুবতীরা এই সংস্থায় যোগ দেন। সারা দেশের যুবক-যুবতীদের স্বেচ্ছাসেবা তত্পরতা পরিচালনা করা এই সমিতির প্রধান কতর্ব্য। সমিতির লক্ষ্য হলো 'উত্সর্গ, ভালবাসা, পারস্পরিক সহায়তা ও অগ্রগতি' - এ বাণী প্রচার করা। তাছাড়া, সমাজতন্ত্র বিষয়ে সচেতনতা ও সভ্যতা গড়ে তোলা, সমাজতান্ত্রিক বাজার অর্থনীতি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ও সম্পূর্ণ করা, যুবক-যুবতীদের মানবিক গুণাবলী বাড়ানো এবং সমন্বিত আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সম্প্রীতিমূলক অগ্রগতি অর্জনের ক্ষেত্রে এই সমিতি অবদান রাখছে। গত বছরের মে মাসে এ সমিতি জাতিসংঘের অর্থনীতি ও সামাজিক পরিষদের বিশেষ স্বীকৃতি পায়।
উনিশ শ' আটানব্বই সালের আগস্ট মাসে চীনের যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুব স্বেচ্ছাসেবক কর্মসূচি পরিচালনা কেন্দ্র আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার ফলে যুব স্বেচ্ছাসেবকদের সেবা কর্মকাণ্ড আরও কার্যকর হয়েছে। উনিশ শ' পঁচানব্বই সাল থেকে বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় যুব স্বেচ্ছাসেবক সেবাকেন্দ্রের গঠন কাজ শুরু হয়। এখন সারা দেশে ২৪ হাজারেরও বেশি আবাসিক এলাকায় যুব স্বেচ্ছাসেবক সেবাকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে।