চীনের প্রধান পশুপালন অঞ্চল হিসেবে, সিনচিয়াংয়ে ১৪ বিলিয়ন একর তৃণভূমি আছে। এর মধ্যে ১২ বিলিয়ন একর ব্যবহার করা যায়। চারণভূমির বোঝা মাত্রাতিরিক্ত হওয়ার কারণে তৃণভূমির সহন-সামর্থ্য বারবার কমে যায়। গত ২ বছরে সিনচিয়াং সরকার তৃণভূমির প্রাকৃতিক অবস্থা প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে তৃণভূমিক্ষয় নিয়ন্ত্রণ করেছে। কয়েক জায়গার পরিবেশ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে এবং 'বাতাস আসায় ঘাস কমে এবং গরু ও মেষ দেখা যায়'আবার শুরু হয়েছে।

বাইন ব্রুক তৃণভূমি থিয়ানশান পর্বতমালার মধ্যাংশের উপত্যকায় অবস্থিত। তার চার পাশে তুষারমৌলি পাহাড় ঘিরে রয়েছে। বাইন ব্রুক তৃণভূমি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৫০০শ' মিটার উঁচুতে, এটি হলো অন্তঃর্মঙ্গোলিয়ার এরদোস তৃণভূমির পরে চীনের দ্বিতীয় বড় তৃণভূমি। বাইন ব্রুক তৃণভূমি খুবই মসৃণ, পানি ও ঘাস প্রচুর থাকায় এটি সিনচিয়াংয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পশুপালন কেন্দ্রগুলোর একটি। চীনের সবচেয়ে বড় বন্য রাজহংস সংরক্ষিত অঞ্চল এখানেই অবস্থিত। প্রতিটি গ্রীষ্মকালে তৃণভূমিতে ফুল ফুটে এবং মেঘের মতো মেষগুলো তৃণভূমিতে ঘুরে বেড়ায়, বেশ সুন্দর লাগে!

গুন নে সি তৃণভূমি মানে গুন নে সি নদ-নদীগুলোর কাছের নদী উপত্যকা, পাহাড়তলি ও তৃণভূমি। গুন নে সি তৃণভূমি খুবই বিস্তীর্ণ, এতে অনেক নদী ও উপত্যকা আছে, এটি হলো সিনচিয়াংয়ের বিখ্যাত তৃণভূমি। এখানে প্রচুর বৃষ্টি হয়, অনেক ধরণের নদনদী ও গাছপালা আছে। প্রতি বছর জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হলো তৃণভূমির শ্রেষ্ঠ সময়। বিস্তীর্ণ তৃণভূমি, সুন্দর পাহাড়তলি, দলবদ্ধ গরু ও মেষ এবং ছোট ছোট বাড়িঘর গ্রীষ্মকালীন তৃণভূমির ছবিকে সুন্দর করে তোলে। এ সময় অনেক বিদেশী পর্যটক এখানে এসে তৃণভূমির দৃশ্য ও জাতিগত সংস্কৃতি অনুভব করে।

আলেথাই শহর সিনচিয়াংয়ের উত্তর দিকের প্রান্তসীমায় অবস্থিত। স্থানীয় ইয়ুন শান ও সাইবেরিয়ার ল্যারিক্স মেলিনিসহ বনজ সম্পদ প্রচুর। এ শহর হলো সিনচিয়াংয়ের গুরুত্বপূর্ণ বনজ ক্ষেত্রের মধ্যেকার একটি।

বুরচিন জেলা সিনচিয়াংয়ের উত্তর দিকে অবস্থিত। বুরচিন তৃণভূমি অবস্থিত বুরচিন জেলার কেনাসি নদী ও হেমু নদীর মধ্যের উপত্যকায়। বুরচিন তৃণভূমিতে প্রচুর বন, ঘাস এবং গরু ও মেষ আছে। কত সুন্দর দৃশ্য, তাইনা বন্ধুরা!

সাইলিমু হ্রদের প্রাচীন নাম হলো'পরিষ্কার হ্রদ'। এ হ্রদ সিনচিয়াংয়ের বোলে শহরের উত্তর থিয়ানশান পর্বতমালায় অবস্থিত। একটি উঁচু পাহাড়ের হ্রদ হিসেবে, সাইলিমু হ্রদ হলো সিনচিয়াংয়ের সবচেয়ে উঁচু এবং সবচেয়ে বড় ঠান্ডা পানির হ্রদ। একটি চাকচিক্যময় নীল মরকতের ? মতো সাইলিমু হ্রদ থিয়ানশানের মধ্যে ঝুলে রয়েছে। অনেক পাহাড়ী হ্রদ একে পরিবেষ্টন করে আছে। হ্রদের পানিতে আকাশের প্রতিচ্ছবি আর তার টলমলে পানির দৃশ্য মানুষকে কিছুক্ষণের জন্য হলেও মুগ্ধ করে রাখে আনন্দের আবিলতায়।(লতা/আবাম)