|
লাসা নদীর তীরে বসবাসরত ছেওয়াং জিগমে শহরের অনেক নাগরিকের মতো প্রতিদিন ভোরবেলায় নদীর তীরে ব্যয়াম করতে আসেন। নদীর তীরে তিনি বুনো হাঁসদের খেলাধুলা উপভোগ করেন। এটা হল তাঁর দীর্ঘকালের অভ্যাস।
"গত নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিক থেকে স্থানীয় সরকার পরিবেশ সংরক্ষণের দিকে মনোযোগ দিয়ে আসছে। অধিবাসীদের পরিবেশ সংরক্ষণ সচেতনাও ক্রমেই বেড়েছে। আগে অদৃশ হওয়া বেশ কয়েক ধরনের পাখি আবার লাসা নদীর তীরে ফিরে এসেছে। লাসার একজন নাগরিক হিসেবে আমি এ সব দৃশ্য দেখে অত্যন্ত আনন্দিত বোধ করি।"
তিব্বতের শান্তিপূর্ণ মুক্তির ৬০ বছরে চীনের কেন্দ্রীয় সরকার সেখানকার পরিবেশ সংরক্ষণ ও গঠনকাজের ওপর যথেষ্ট মনোযোগ দিয়ে আসছে। জানা গেছে, গেল ৫ বছরে প্রাকৃতিক বন সংরক্ষণে, আবাদি কৃষি জমিতে পুর্নবনায়ন প্রকল্পে এবং প্রাকৃতিক সংরক্ষণের গঠনকাজে তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সরকার মোট এক হাজার কোটি রেন মিন পি ব্যয় করেছে। এখন পর্যন্ত গোটা অঞ্চলে ৪৭টি নানা রকমের প্রাকৃতিক বন সংরক্ষণ অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন এক-তৃতীয়াংশ জমি প্রাকৃতিক সংরক্ষণ অঞ্চলে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের গণ কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান জামপা ফুনটসোক বলেন,
"তিব্বতে কোনো প্রাণী বিলুপ্ত হয়নি। বরং প্রাণী বৈচিত্র অনবরত বাড়ছে। তিব্বতের পরিবেশ মোটামূটি প্রাকৃতিক অবস্থায় সংরক্ষিত রয়েছে। এখানে মাঝেমাঝে এ কথা শোনা যায় যে, তিব্বতের নদ-নদী ও পাহাড়কে আমাদের চোখের মতো রক্ষা করা উচিত।"
পরিবেশ সংরক্ষণের পাশাপাশি তিব্বতের জনসাধারণের মধ্যে মিথেন গ্যাস, সৌরশক্তিতে চালিত চুলা ও সৌরবিদ্যুতের ব্যবহারের চেতনা বেড়েছে। এখন কৃষক ও পশুপালকদের জীবনযাত্রার মান আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের কৃষি ও পশুপালন ব্যুরোর উপ মহাপরিচালক সিং ছেন পং বলেন
"২০১০ সাল নাগাদ সারা তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে মোট এক লাখ ৫০ হাজারটি মিথেন গ্যাস স্থাপনা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় সাড়ে ৭ লাখ কৃষক ও পশুপালক এই সুবিধাজনক ও পরিষ্কার মিথেন গ্যাস ব্যবহার করে, যার ফলে অনেক জ্বালানি কাঠ বেঁচে গেছে।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |