Web bengali.cri.cn   
দক্ষিণ সুদানের স্বাধীনতা
  2011-07-10 18:41:43  cri
২০০৫ সুদানের দক্ষিণ ও উত্তরের মধ্যে স্বাক্ষরিত ' সাবির্ক শান্তি চুক্তি' এবং চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে সুদানের দক্ষিণ অঞ্চলের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী গত ৯ জুলাই দক্ষিণ সুদান অনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোণা করেছে। দেশটির নাম দক্ষিণ সুদান প্রজাতন্ত্র। জুবা দেশটির রাজধানী। সুদানের সাবেক প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সুদানের দক্ষিণাঞ্চলের স্বাত্তশাসিত সরকারের চেয়ারম্যান সালভা কির মায়ারডিট দক্ষিন সুদান প্রজাতন্ত্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট হন। বিশ্লেষকরা মনে করেন, যদিও দক্ষিণ সুদানের স্বাধীনতা বাস্তবায়িত হয়েছে তবুও সুদানের দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলের সীমান্ত নিণর্য় , তেলের স্বার্থের ভাগাভাগি, আন্তর্জাতিক ঋণের ভাগাভাগি, জনসাধারণের নাগরিত্বসহ নানা সমস্যা এখনও মিংমাসীত হয়নি। তা ছাড়া, প্রায় ৫০ বছর ধরে যুদ্ধের কারণে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতি অনেক পিছিয়ে গেছে। সুতরাং স্বাধীনতার পর কেমনভাবে দেশটি গড়ে তোলা যাবে তা একটি কঠিন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয় সময় ৯ জুলাই দুপুরে দক্ষিণ সুদান প্রজাতন্ত্রের স্বাধীনতা উদযাপনী অনুষ্ঠান রাজধারী জুবাতে দক্ষিণাঞ্চলের সাবেক নেতা জন গারাংয়ের সমাধির সামনের মহা চত্বরে আয়োজন করা হয়। সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমার হাসান আহমাড আল বাশির , জাতিসংঘ মহা সচিব বান কিউ মং এবং আরব লীগ, ইউরোপীয় ইউনিয়ান ও আফ্রিকা ইউনিয়ানসহ আঞ্চলিক সংস্থার প্রতিনিধিরা এই উদযাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। উদযাপনী অনুষ্ঠানে সুদানের স্পীকার জামেস ওয়ানি ইগা স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছেন। তার পর নব গঠিত দক্ষিণ সুদান প্রজাতন্ত্রের জাতীয় পাতাকা উত্তোলন করা হয়। এর পর দক্ষিণ সুদানের নেতা সালভা কির মায়ারডিট আন্তবর্তীকালীন সংবিধানে সই করেছেন এবং দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্টের শপত গ্রহণ করেছেন।

দক্ষিণ সুদান প্রজাতন্ত্রের স্বাধীনতা ঘোষিত হওয়ার আগের দিনে সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমার বাহান আহমাদ আল বাশির প্রেসিডেন্ট আদেশ প্রকাশ করেছেন। এই আদাশে ঘোষিত হয়েছে যে, ৯ জুলাই থেকে দক্ষিন সুদান 'স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব দেশ' হিসেবে স্বীকৃত হবে।

যদিও দক্ষিণ সুদানের জনগণ দেশের ভবিষ্যে আশাবাদী তবুও দক্ষিণ সুদানের সরকার কীভাবে উত্তর সুদানের মধ্যে বিদ্যমান অমিমাংসীত সমস্যা ও মতভেদ মোকাবিলার ব্যাপারে বিরাট চ্যালেঞ্জার রয়েছে।

এ বছরের প্রথম দিকে সুদানের দক্ষিণাঞ্চলে গণভোটে স্বাধীনতা সিদ্ধান্ত নেয়ার পর , সুদানের দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলের মধ্যে সীমান্তের নির্নয়, তেলের স্বার্থের ভাগাভাগিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এখন পযর্ন্ত উপরোল্লেখিত ব্যাপারে দু'পক্ষের মধ্যে মতৈক্য হয়নি। গত মে মাসে দু'পক্ষের মধ্যে ভূভাগ নিয়ে আবার লড়াই হয়েছে। কিন্তু দু'পক্ষ স্পষ্টভাবে উপলব্ধি করেছে যে , যুদ্ধের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা যায় না । সুতরাং এ মাসের ৪ তারিখে দু'পক্ষ সুদানের দক্ষিণাঞ্চলের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার কথা রাজি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040