|
বিশ্ববাণিজ্য সংস্থায় চীনের অংশ গ্রহণের দশম বার্ষিকী প্রসঙ্গে চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী চেন দ্য মিন তিন দিকের অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করে বলেন, প্রথমত: বিশ্ববাণিজ্য সংস্থায় চীনের অংশ গ্রহণ চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের গুরুত্বর্পূণ মাইলফলক। ১৯৭৮ সালে চীনে সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ নীতি চালু হয়। চীন নিজেই তার উন্নয়নযোগ্য পথ বেছে নিয়ে অনেক অসুবিধা ও চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে বহুমুখী বাণিজ্যের নিয়ম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। শিল্প, কৃষি, পরিসেবা শিল্প ও মেধাস্বত্বসহ ব্যাপক ক্ষেত্রে চীন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ২০০১ সালে চীন আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার সদস্য হয়। বলাবাহুল্য এটা হল চীনের একটি অত্যন্ত সাহসিকতা সম্পন্ন বিকল্প। গত দশ বছরে চীন ধীরে ধীরে নতুন সদস্য এবং কেবল একজন অংশ গ্রহণকারী হিসেবে থেকে বতর্মানের অন্যতম গুরুত্বর্পূণ আয়োজক হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্বিতীয়ত: বিশ্ববাণিজ্য সংস্থায় চীনের অংশ গ্রহণ হল বিশ্বের সঙ্গে চীনের সমৃদ্ধি ভাগাভাগি করা ও উভয়ের বিজয় অর্জনের দশ বছর। গত দশ বছরে চীনের রফতানির পরিমাণ ৪ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানির পরিমাণ ৪ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। জি ডি পি দ্বিগুণ বেড়েছে। এ দশ বছর চীনের সবচেয়ে ভাল উন্নয়নের সময়পর্বে পরিণত হয়েছে। এ দশ বছরে মাথাপিছু জি ডি পি প্রথম দিকের ৮০০ মার্কিন ডলার থেকে ২০০৯ সালের ২৫০০ মার্কিন ডলারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বড় আমদানিকৃত দেশে পরিণত হয়েছে।
তৃতীয়ত: আগামী দশ বছরে চীন আরও উন্মুক্ত হবে। চীনকে গ্রহণের ব্যাপারে চীন বিশ্ববাণিজ্য পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। এ থেকে প্রতিপন্ন হয়েছে যে, আসলে চীনের বাছাই সঠিক। আরও কার্যকর বহুমুখী বাণিজ্য কাঠামো বিশ্ব উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। আগামী দশ বছরে চীন বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে পরিণত হবে।
ইইউর প্রতিনিধি হিসেবে প্যাসকল লামি বিশ্ববাণিজ্য সংস্থায় চীনের অংশ গ্রহণ সংক্রান্ত আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন। এ সংস্থায় অংশ গ্রহণের পর বেশির ভাগ সময় তিনি বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি নিজের চোখে চীনের অর্জিত সাফল্য দেখেছেন। তিনি বলেন, গত বছরের ধারাবাহিক পরিসংখ্যান থেকে প্রতিপন্ন হয়েছে, চীন নিজেকে বিজয় করেছে পাশাপাশি বিশ্বকেও বিজয় করেছে।
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |