Web bengali.cri.cn   
হাইতি ভূমিকম্পের এক বছর
  2011-01-13 14:26:46  cri
২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি হাইতিতে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি মাত্রার ভয়ংকর ভূমিকম্প ঘটে। এতে বিপুল সংখ্যাক লোক হতাহত হয়। ভূমিকম্পের পর বিশ্ব সমাজ সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়। তবে ভূমিকম্পের পর এক বছর পার হয়ে গেছে। কিন্তু হাইতিতে পুনর্গঠন কাজে এখন পযর্ন্ত তেমন কোন প্রকার সাফল্য অর্জিত হয়নি।

গত বছরের ১২ জানুয়ারি সংঘটিত এ ভয়ংকর ভূমিকম্পে হাইতির ২ লাখ লোক প্রাণ হারায় এবং আহত হয় ২ লাখেরও বেশী। তা ছাড়া, ১০ লাখেরও বেশী লোক গৃহহারা হয়। এই ভূমিকম্প হাইতির জন্য একটি সাংঘাতিক আঘাত বলে মনে করা হয়। জাতিসংঘের প্রস্তাবে বিশ্ব সমাজ হাইতিকে ১১০০ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনৈতিক সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ পযন্র্ত মাত্র ১০ শতাংশ অর্থের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়েছে। ভূমিকম্পের পর পর্যাপ্ত অর্থের অভাবে পুনর্গঠনের কাজ খুব ধীরে ধীরে চলছে। এক বছরের মধ্যে হাইতির রাজধানীর প্রধান প্রধান রাস্তা মোটামুটি ঠিক হয়ে গেছে। কিন্তু রাজধানীর বেশির ভাগ অঞ্চল এখনো ধ্বংসাবেশের নিচে চাপা পড়ে আছে। ভূমিকম্পে ধসে পড়া প্রেসিডেন্ট ভবন এখনও আগের অবস্থায় রয়েছে। তা পরিস্কার করার কাজ এখনও শুরু হয়নি।

২০১০ সাল হাইতির জন্য একটি সর্বনাশ হয়ে উঠেছে। ভূমিকম্প ছাড়া, হাইতি র্ঘর্ণিঝড় ও কলেরার প্রাদুর্ভাবের শিকার হয়েছে। বতর্মানে কলেরার প্রকোপে নিহতের সংখ্যা ৩৫০০ জনেরও বেশী ছাড়িয়ে গেছে। ১ লাখ ৫ হাজার লোক কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে। কলেরাজনিত মহামারি এবং সহিংসতা ও দাঁঙ্গাহাঙ্গামা আন্তর্জাতিক সহায়তা কাজে বাধার সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, যদি কলেরার প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়তে থাকে তাহলে হাইতিতে ২ লাখ লোক কলেরায় আক্রান্ত হবে এবং ১০ হাজারেরও বেশী লোক মারা যাবে।

ঘনঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটা অবস্থায় গত বছরের ২৮ নভেম্বর হাইতিতে ভূমিকম্পোত্তর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর হাইতির অস্থায়ী নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত হিসেবের ফলাফল অনুযায়ী, প্রাক্তন প্রেসিডেন্টর স্ত্রী মিরল্যানড মারিগাট অন্যা দু'জন প্রার্থীর চেয়ে দুটি ভোটে এগিয়ে গেছেন। কিন্তু অর্থেকেরও বেশী ভোট পাননি। সুতরাং দ্বিতীয় দফা ভোট গ্রহণে দু'জনের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

জাতিসংঘ মহাসচিবের হাইতি বিষয়ক উপ প্রতিনিধি, হাইতিতে নিযুক্ত জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়কারী সদস্য নিগাল ফিসার ১০ জানুযায়ি রাজধানী পোট অব প্রিন্সে বলেছেন, গত বছরের মে মাসে শুরু হওয়া হাইতির দুর্যোগোত্তর পুনর্গঠন কাজ এখনও চলছে। চলতি বছরের ১ জানুযায়ি পযর্ন্ত প্রায় ৮ লাখ ১০ হাজার দুর্গত এখনও রাজধানীর ১১৫০টি তাঁবুতে আশ্রয় বাস করছে। তিনি আরও বলেন, নতুন বছরে পুর্নগঠন কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জাতিসংঘ অফুরন্ত প্রচেষ্টা চালাবে।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040