Web bengali.cri.cn   
আমি যখন থেকেই বাংলা অনুষ্ঠান শুনছি তখন থেকেই প্রতিনিয়ত চীনকে জানছি
  2010-03-16 15:48:58  cri
বাংলাদেশের বগুড়া জেলার সাইফুল ইসলাম তাঁর রচনায় লিখেছেন, ১৯৯০ সালের নভেম্বর মাসের কোন এক শনিবার দিন রাত ৯টা বেজে ২০ মিনিট। আনমনে রেডিও'র নব ঘোরাচ্ছিলাম হঠাত্ করে ভেসে এলো আধো বাংলায় এক অতি সু-মধুর কন্ঠে। তিনি ছিরেন মাদাম চুং শাও লি। তিনি উপস্থাপন করছিলেন চীনা গল্পের আসর। সে দিনের অনুষ্ঠান শুনে আবিভূত হলাম। সেই থেকে শুরু হলো আপনাদের সঙ্গে আমার পত্র মিতালী। আপনাদের প্রতি বত্সরের জ্ঞান যাচাই মুলক প্রতিযোগিতায় আমি অংশ গ্রহণ করতাম এবং ১ম, ২য় অথবা তৃতীয় সারির পুরস্কার পেতাম। আজও সেই সব পুরস্কার আমার বাড়ীর শো-কেসে শোভা পাচ্ছে। রেডিও পেইচিংয়ের অনুষ্ঠানে আমি সেই সময় সবচেয়ে বেশি পছন্দ করতাম চীনা শিল্পীর গাওয়া বাংলা গানগুলি, যা আজও কোন না কোন সময় কারো অনুরোধে শুনতে পাই আপনাদের বেতার থেকে। চীন আন্তর্জাতিক বাংলা বেতারের শ্রোতা সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে অনুষ্ঠানে আনা হয় নানা বৈচিত্র্যতা। ৩০ মিনিটের অনুষ্ঠান পরিবর্তে শুরু হয় ১ ঘন্টার অনুষ্ঠান প্রচার শুরু। চীনের সহকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে নানা ধরণের সুন্দর সুন্দর অনুষ্ঠান আমাদের বছরের পর বছর যাবত্ উপহার দিয়ে আসছে। আপনাদের কাছে আমরা এজন্য কৃতজ্ঞ। এ যাবত্ আপনাদের বেতার থেকে আমি কয়েক হাজার চিঠি এবং নানা উপহার সামগ্রী পেয়েছি। এছাড়া প্রতি বত্সরের জ্ঞান যাচাই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েও অনেক মূল্যবান উপহার সমূহ পেয়েছি। তা ছাড়াও ১৯৯৭ সালে এবং ২০০২ সালে বিশেষ পুরস্কার গ্রহণের জন্য ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসেও যেতে হয়েছে। এজন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পৃথিবীতে একমাত্র চীন আন্তর্জাতিক বেতারেই কেবল রয়েছে সে দেশের নর-নারীর কন্ঠে বাংলা অনুষ্ঠান শোনার দূর্লভ এক ব্যবস্থা। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের আরেকটি চমক হচ্ছে-বাংলা ভাষায় পত্রিকা প্রকাশ। সেই সময় সিআরআই প্রথম প্রকাশ করনে আমি তুমি সে নামক এক ঐমাসিক পত্রিকা, যেটি বর্তমানে প্রকাশিত হচ্ছে পুবের জানালা নামে। আমার মতে আপনাদের বাংলা ভাষার এই পত্রিকা অজস্র শ্রোতার মন জয় করেছে। আর এ ধরণের বাংলা পত্রিকা প্রকাশ এক মাত্র চীন আন্তর্জাতিক বেতারই করেছে এবং এর জন্য অবশ্যই সিআরআই প্রশংসার দাবীদার। দীর্ঘ ১৯ বছর হতে চলল আপনাদের সঙ্গে আমার পত্র যোগাযোগ। আশা করি আপনাদের সঙ্গে আমার এই বন্ধুর সম্পর্ক আগামীতেও অটুট থাকবে।

বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার গুলশান আরা তাঁর রচনায় লিখেছেন, নতুন দিনের পথচলার সাথে সাথে মানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, বিরহ-বেদনা ও মৃত্যু বিচ্ছেদ আমাদের গতিপথকে মাঝে মাঝে থমকে দেয়। কিন্তু এরই মাঝে এক রাশ নির্মল বিনোদনের জন্য অক্লান্ত শ্রম দিয়ে শ্রোতাদের অন্তরের ঠাঁই করে নিয়েছে সিআরআই বাংলা বিভাগ। এই জনপ্রিয় গণ মাধ্যমটি সক্রিয়ভাবে জড়িত যা তাত্ক্ষণিকভাবে আমাদের শ্রোতাদের অতি সাম্প্রতিক কালের নানা তথ্য পরিবেশন করতে পারছে। আমরা এজন্য ধন্য ও আনন্দিত। চীনের ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, পরিবেশ, আর্থ-সাজাজিক উন্নয়ণ, অর্থনৈতিক পতি প্রবাহ, বিজ্ঞান কথা প্রযুক্তির উন্নতি সাধন ও অবিষ্কায়সহ নানা বিধ সংবাদ কেবল মাত্র সি আর আই বাংলা বিভাগের কাছ থেকে পেয়ে আমি সমদ্ধে হচ্ছি। আমি সিআরআই শুনি নিজেকে সমৃদ্ধ করার জন্য। এক জন্য নারী শ্রোতা হিসেবে আমার মনে পগেছে চীনা বাঁধু, চীনা খান, রসনা বিলাস ও কন্যা জায়া জননী অনুষ্ঠানগুলোর কথা। আমাদের মতো নারী শ্রোতাদের জন্য সিআরআই বাংলা বিভাগ সব সময় চীনের ঐতিহ্যকে আমাদের মুখোমুখি করেছে। আমি যখন থেকেই বাংলা অনুষ্ঠান শুনছি তখন থেকেই প্রতিনিয়ত চীনকে জানছি। ২০০৪ সালের ১৫ জুলাই বাংলা বিভাগ তার আধ ঘন্টার সম্প্রচার বাড়িয়ে পুরো এক ঘন্টা করে শ্রোতাদের দীর্ঘ দিনের দাবীকে যথার্থ মূল্যায়ন করেছে। আজ এক ঘন্টা অনুষ্ঠানে বিচিত্র সব তথ্য পরিবেশন করা হচ্ছে যা আমাকে সত্যিই ধন্য করে তুলছে। একই বছরের ১ নভেম্বর বাংলা ওয়েবসাইট পরিবেশন করার মধ্য দিয়ে দিগন্ডের সাথে সিআরআই বাংলা বিভাগও মিলিত হয়ে গেল। রেডিও নানা তথ্য প্রচার করার পাশাপাশি বাড়তি তথ্য ওয়েবসাইটে স্থান ভরে দেয়ায় নানা দেশ ছড়িয়ে থাকা শ্রোতারা সবসময় ওয়েবসাইট দেখে বণিল আয়োজনের নানা বিধ সফল তথ্য দেখে মুগ্ধ হচ্ছে। শৌহার্দ্য ও মৌত্রীর অটুটু বন্ধনে সিআরআই বাংলা বিভাগ নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যা আমার মত শ্রোতার জন্য পরম পাওয়া। মনে পড়ে সেই প্রথম দিনটির কথা, যখন এক বর্ষস্নাত সন্ধ্যায় রেডিও ঘুরাতেই বাংলা কণ্ঠস্বর আবিস্কার করি। এখন প্রবল কাজের চাপেও রুটিন করে সিআরআই বাংলা অনুষ্ঠান শোনা অব্যাহত রেখেছি। আমার প্রত্যাশ্যা, এ ভাবেই চলতে থাকবে আমার বিশস্ত বন্ধুর দেখা। গুলশান আরা, আপনাকে আমাদের অনুষ্ঠান নিয়মিতভাবে শোনা ও ওয়েবসাইট নিয়মিতভাবে দেখার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আপনি আমাদের অনেক পুরানো বন্ধু। আশা করি, ভবিষ্যতে আপনি আমাদেরকে আরো বেশি গঠনমূলক প্রস্তাব ও মতামত দেবেন। চিরদিনে আমাদের মধ্যে মৈত্রী বজায় রাখবো।

বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার শেখ জিয়াউর রহমান তাঁর রচনায় লিখেছেন, সময়টা ২০০২ সালের ২রা জানুয়ারী। রাতে রেডিও'র টিউন ঘুরাতে ঘুরাতে হঠাত্ বাংলা কন্ঠস্বর কানে ভেসে আসে। ভালভাবে রেডিওটি ধরে শুনতে থাকলাম চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান কি চমত্কার নির্ভূল উপস্থাপনা ও বর্ণিল শব্দ যোজনা আমাকে প্রতিটি দিন অনুষ্ঠান শুনতে দারুনভাবে উত্সাহীও করল। এখন যেন নেশায় পেয়ে বসল। চীনে একটি কবিতা আছে, তার অর্থ হচ্ছে, 'সুদূর দেশেও আমাদের আপন লোকের মতো ভালো বন্ধু আছেন। আমরা একই পৃথিবীতে থাকি, একই সূর্যের আলো ভোগ করি, তাই সবাই বন্ধু হওয়া এবং বন্ধুভাবাপন্ন হৃদয় দিয়ে। এটা যেন মনের উপযুক্ত মনিকাজ্ঞন যোগ। সিআরআইয়ের বাংলা সংবাদ পরিবেশনা আমাকে ভীষণভাবে নানান তথ্য সম্ভারে মুগ্ধ করছে। এটির মাধ্যমে বিশ্বের নানা প্রান্ডের ঘটে যাওয়া বিচিত্র সংবাদ শুধু আমাকে কেন-বাংলাভাষী সকল শ্রোতাদের জন্য বিপুল তথ্য ভান্ডার। সিআরআইয়ের অন্যান্য পরিবেশনা গুলির গুণমান এক কথায় অমূল্য সম্পদ। সিআরআইয়ের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল শ্রোতাদের নিয়ে সবসময় কাজ করে থাকে। শ্রোতাদের মতামত, প্রস্তাব পরামর্শ সব সময় বিশেষভাবে গুরুত্ব প্রদান করে থাকে। আমার প্রত্যাকটি চিঠি সিআরআই ফিডব্যাক দিয়ে আমাকে উত্সাহীত করে। সিআরআই বাংলা বিভাগ বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে তার আহরিত সম্পদ আমাকে হাতে প্রদান করে চলেছে যা আমাকে বণী করে তুলেছে। একটি স্নরণীয় ঘটনা মনে বাড়ছে। সেটি হল ২০০৮ সালের ১৫ আগষ্ট খুলনার একটি যাচাই ক্রাফেতে ঢুকে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ওয়েবসাইট ক্লিক করেই চীন সম্পর্কিক অজানা দ্বীপের সন্ধান করি। ক্রসাম্বয়ে আমার সামনে উম্মোচিত্ত হতে থাকে বিপুল সংযগ্রহ শালা। এদিনটি আমি কখনোই ভুলতে পারব না। আমার ইচ্ছে হয়ে প্রতিদিন এই ওয়েবসাইটটিতে ঢু সারি। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় আমার আশাপাশে কোন ইন্টারনেটের সুব্যবস্থা নেই। সেজন্য যখনই খুলনাতে যাই তখন একটি বারের জন্য হলে সিআরআই বাংলা বিভাগ অপার সংগ্রহ শালায় প্রবেশ করি। সিআরআই বাংলা বিভাগের অনুষ্ঠান শ্রবণমান বেশ উন্নত ২০০৪ সালের ১৫ জুলাই বাংলা অনুষ্ঠান আধ ঘন্টা থেকে বেড়ে এক ঘন্টা হয়ে আজ শ্রোতাদের অতৃপ্ত বাসনাকে পরিপূর্ণতা এনেদিয়েছে। চীনের শিল্প, সাহিত্য, ঐতিহ্য ও সামাজিক উন্নয়নের গৌরবময় সাফল্য আমি সিআরআই বাংলা বিভাগ থেকেই পেয়ে আসছি। এছাড়া প্রযুক্তি উত্কর্ষতার কথা, চীন বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের নানান তথ্য আমাকে মুগ্ধ করে চলেছে। আমার ইচ্ছা, যতদিন বেচে আছি সিআরআই বাংলা বিভাগের সাথে আমার চির অটুট রাখবো।' শেখ জিয়াউর রহমান, আপনি এত কঠিন অবস্থায় অব্যাহতভাবে আমাদের ওয়েবসাইট দেখেন। এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। এটি আমাদেরকে অনেক মুগ্ধ করে। আপনি নিয়মিত আমাদের অনুষ্ঠান শোনা ও মতামত দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040