সিআরআইয়ের ৪০তম বার্ষিকীতে শান্তির কন্ঠ 'মৈত্রীর সেতু' হিসেবে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্তরের শ্রোতাসাধারণের মনে গভীর ছাপ ফেলেছে...
বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার আব্দুল খালেক তাঁর রচনায় লিখেছেন, সেই ১৯৮০ ইং সালে আমার রেডিও সেটটি অন করে আমি হঠাত্ করে শুনতে পাই রেডিও পিকিং বাংলা ভাষায় উচ্চারিত শব্দটি। আমি আধ ঘন্টার অনুষ্ঠানটি পুরাপুরি শুনি। সেই থেকে আজ পর্যন্ত আমি আর চীন আন্তর্জাতিক বেতার ওতো প্রয়োত ভাবে জরিত। রেডিও পিকিং থেকে আজ চীন আন্তর্জাতিক বেতার অর্থাত্ সিআরআই নাম ধারণ করে সারা বিশ্বের বুকে সিআরআই'র বাংলঅ অনুষ্ঠান অতি সুনামের সহিত সাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে। ২০০৯ সালে ১লা জানুয়ারী সিআরআই তার বাংলা অনুষ্ঠান প্রচারের ৪০ তম বার্ষিকী পৃর্তিতে তার অগণিত শ্রোতাদের মন জয় করতে পেরেছে বলে আমি মনে করি। সিআরআইয়ের ৪০তম বার্ষিকীতে শান্তির কন্ঠ 'মৈত্রীর সেতু' হিসেবে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্তরের শ্রোতাসাধারণের মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। সিআরআই'র বাংলা অনুষ্ঠান বৈদেশিক প্রচারের একটি শক্তিশালী মাধ্যমে হিসাবে গড়ে উঠেছে। দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে সিআরআই'র বাংলা বিভাগ সাফল্যের সাথে বাংলাদেশসহ বাংলা ভাষী শ্রোতাদের মনোবন্জনের সাথে সাথে তাদের চীনের মানুষ ও সংস্কৃতি সম্মঙ্গে বেশী, বেশী জানায় ও বোঝার সুযোগ করে দিয়েছে। বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি প্রচার ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান ক্রমবর্ধমান সার্বিক বন্ধত্ব ও অংশিদারিত্বকে জোরদার করতে প্রতিদিন মূল্যবান অবদান রেখেছে। বর্তমান বিশ্বে সিআরআই তার শাখা প্রশাখা ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করেছে। তার সঠিক প্রমান ২০০৮ সালে ১ নভেম্বর বাংলা ভাষয় ওয়েবসাইট চালু করার মাধ্যমে। এরফলে নিরন্তর উন্নতি এবং বিষয়বস্তর সমৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ওয়েবসাইট দিন দিন আরো বেশি পাঠকের মনোযোগ আকর্ষন করছে।
বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার আরেক শ্রোতা মুনীব আলী তাঁর রচনায় লিখেছেন, সিআরআই ১৯৬৯ সালে ১ জানুয়ারী আনুষ্ঠানিক তার বাংলা অনুষ্ঠান শুরু করে। বর্তমানে সিআরআই এক ঘন্টা করে তার নিজস্ব অনুষ্ঠান মালা প্রচার করছে। আমি সিআরআই'র বাংলা বিভাগের একজন নতুন শ্রোতা। নতুন শ্রোতা হিসাবে সিআরআইয়ের বাংলা অনুষ্ঠানগুলো আমাকে আকৃষ্ঠ করে। সিআরআইয়ের সব চাইতে বড় অবদান মিডিয়াম ওয়েভে তার অনুষ্ঠান প্রচার করা। আমি মনে করি মিডিয়ামে ওয়েভে অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হওয়ায় সিআরআইয়ের শ্রোতা সংখ্যা বিশ্বের সকল বেতার থেকে লক্ষ লক্ষ গুন বেশি। সিআরআই ওয়েবসাইট চালুর মাধ্যমে বাংলা ভাষা ভাষী অগণিত শ্রোতা ও পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পেয়েছে। চীন বাংলাদেশ মৈত্রীর সেতু বন্ধণে আবন্ধ। এই সেতু বন্ধন চীর আম্লান হয়ে থাকবে আমি আশা করি। আমি সিআরআইকে আমার মনে প্রাণে একেবারে আপন মনে করে নিয়েছি। চীন বাংলাদেশ মৈত্রী সম্মেলণ কেন্দ্র স্থাপনের ফলে ব্যপক তার আত্ব প্রকাশ ঘটেছে। তাই আমি মনে করি চীরকাল সিআরআই তার অগণিত। শ্রোতা দর্শকদের মনোবন্ধণ করে যেতে পারে। মুনীব আলী, প্রথমে আপনাকে আমাদের শ্রোতার বাড়ীতে অংশগ্রহণ করার স্বাগত জানাই। আপনার চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সম্পর্কে প্রত্যাশ্যা দেখলে আমাদের অনেক আনন্দিত লাগে। আমরা বিশ্বাস করি, সবাই শ্রোতার এ ধরণের প্রত্যাশ্যা রয়েছে। আমরাও আশা করি, চীন ও বাংলাদেশের জনগণের মৈত্রী আরো বেশি বৃদ্ধি হবে।