কৃষি, শিল্প, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ নানা ক্ষেত্রে চীন ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছে
2010-03-04 17:02:57 cri
বাংলাদেশের ঢাকার মিরপুর জেলার মাহফুজুল ইসলাম তাঁর রচনায় লিখেছেন, ১৯৪৯ সালের অক্টোবর মাসে মহান নেতা মাও সেতুংয়ের নেতৃত্বে চীনে গণ অভ্যূখান হয় ও চীন গণ প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। এরই মাধ্যমে চীনের আগের অর্থনৈতিক দুরবাহার অবসান পর্ব শুরু হয়। নয়া চীন প্রতিষ্ঠারপর সকল ক্ষেত্রে চীন প্রভূত উন্নতি সাধন করেছে। ২০০৮ সালের অলিম্পিক গেমস আয়োজন ও সকল সম্পাপ্তি চীনকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করে তুলেছে। বিশ্বব্যাপী চীনকে জানতে পেরেছে একটি অর্থনৈতিক অগ্রসরমান দেশ হিসেবে। এ অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানটি দৃষ্টিনন্দন ও মনোমুগ্ধকর যা বিশ্ববাসীর পুর্বে কোন অলিম্পিক গেমসে দেখতে পায়নি। এ জন্য আবারও অভিনন্দন জানাই চীনা বাসীকে। কৃষি, শিল্প, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ নানা ক্ষেত্রে চীন ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছে। নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পর রাশিয়া থেকে বিশ্বের ১৭১টি রাষ্ট্রের সাথে কুটনৈতিক সর্ম্পক স্থাপিত হয়েছে। যা চীনের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কুটনৈতিক সাফল্য, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচটি সদস্যের একটি সদস্য যার উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ভেটো ক্ষমতা রয়েছে। নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পরই চীন এ ক্ষমতা পেয়েছে। চীনারা পরিশ্রমী জাতি। তাই ১৩০ কোটি জনবহুল এ দেশটি কৃষি ক্ষেত্রে উত্পাদন বিপ্লব ঘটিয়ে খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিভিন্ন প্রকার অতি উন্নত টেকনোলজি ব্যবহার করে হাইব্রিড ধান, গম, ভূট্টা প্রভৃতি কৃষি শাস্যে উত্পাদন বাড়িয়েছে। আজকে তাদের বার্ষিক খাদ্যশস্য উত্পাদনের পরিমান ৫০ কোটি টন ছাড়িয়ে গেছে। যার মাধ্যমে বিশ্বের ২২ শতাংশ জনসংখ্যাকে লালন পালন করছে। বিশ্বের মোট আবাদী জমির মাত্র শতরকা ৯ ভাগ ব্যবহার করে। এটাই প্রমান করে চীন কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছে ও উত্পাদন বাড়িয়েছে। চীনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অপরূপ এখানকার জনগণের আথিতেয়তা অতি মুগদ্ধময় যারজন্য এখানে প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক এসে চীনকে দেখতে ও জানতে। চীনের মহাপ্রাচীর চীনের গৌরব, ইহাই প্রমান করে চীনারা কত পরিশ্রমী তারা অসম্ভবকে সম্ভবে পরিণত করতে পারে। চীন কৃষি ক্ষেত্রে যেমন ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছে তেমন শিল্প গবেষনা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়নে সমধিক উন্নতি সাধন করেছে। চীন সমাজতন্ত্রিক রাষ্ট্র গুলোও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পুঁজিবাদীবে সমর্থন করে। ফলে সেখানে মুক্ত বাজার অর্থনীতি বিদ্যমান ফলশ্রুতিতে শিল্পের প্রসার ও উন্নয়ন সাধিত হয়। বিশ্ব অর্থনীতিতে চীন অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে চীন একটি অর্থনৈতিক শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। নয়া চীনের ৬০ বছরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রের সাফল্য নিঃসন্দেহে ঈর্ষনীয়। আধুনিক বিশ্বে বিজ্ঞানের চরম উত্কর্ষতা আছে মহাকাশ বিজ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে। এছাড়া চীন কৃত্রিম উপগ্রহ উত্ক্ষেপন ও মহাকাশে স্থাপন, পারমানবিক বোমার আবিস্কারসহ প্রায় ২০ হাজার বৈজ্ঞানিক সাফল্য আবির্ভূত হয় নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পর। চিকিত্সা ক্ষেত্রেও চীন অতি সাফল্য অর্জন করেছে। চীন আইন গঠনের ক্ষেত্রেও সাফল্য পেয়েছে। আজকে চীনে ২৩১টি কার্যকর আইন প্রচলিত আছে যা চীন জনগণের জন্য প্রয়োজন। নয়া চীন প্রতিষ্ঠার ৬০তম বার্ষিকীতে আমি কামনা করি চীন ভবিষ্যতে আরো বেশি উন্নত ও শক্তিশালী হিসেবে অবির্ভূত হয়, আবারো চীনা ও চীন সরকারকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই তাদের বহুবিধ অকৃত্রিম সাফল্যের জন্য। মাহফুজুল ইসলাম, আপনি চীনে এত বেশি জানেন। আপনি সত্যি আমাদের বন্ধু ও চীনা জনগণের বন্ধ। আপনাকে চীন, চীনা জনগণ ও চীন সরকারকে অভিনন্দন জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানাই। আশ করি, আপনি চীন সমর্থন করবেন এবং নিয়মিতভাবে আমাদের অনুষ্ঠান শুনবেন ও ওয়েবসাইট ঘুরবেন।
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা