আপনাদের চীনা কন্ঠে বাংলা ভাষা আমাকে আকৃষ্ট করে তুলেছিল
2010-02-12 14:35:03 cri
ভারতের পশ্চিম বঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ইউথ রেডিও ক্লাবের প্রেসিডেন্ট জিওটসনা বানু তাঁর রচনায় লিখেছেন, আমি ও আমার জন্ম লগ্ন থেকে রেডিও শোনা আমার নেশা। ১৯৭৯ সালে তখন আমি দশম শ্রেনীতে পড়ি, বিদ্যালয়ে সিআরআই'র বাংলা অনুষ্ঠান সূচি এক জন সহপাঠির কাছে দেখতে পেলাম। অনুষ্ঠান সূচিটা সঙ্গে করে বাড়ি নিয়ে আসলাম। রেডিও'র নাগাল পেলামনা। মাতৃগভে থাকতে আমার পিতা মারা যায়। মা ছিল অসহায়। বড়োভাই আমার পগাশুনার বহন করতে কষ্টে। ভাই'র একটা ভাঙ্গা রেডিও ছিল। পড়াশুনার ফাঁকে লুকিয়ে রেডিও পিকিং শুনতাম। ভাই দেখলে বকনি খেতে হত। বিধবা মা আমার পাশে দাঁড়াত। দশম শ্রেণী পাশ করার পর ১৯ বছর বয়সে ভাই আমার বিয়ে দিয়ে দেয়। বিয়ের পর দেখি আমার স্বামী রেডিও পিকিং'র বিরাট ভক্ত। স্বামীর ঘরে রেডিও পিকিং'র দেওয়াল ক্যালেন্ডার, অনুষ্ঠান সূচি ও চায়না ডাইলি পত্রকা দেখি। স্বামী রেডিও শুনে যখন আমিও তখন রেডিও শুনি। একদিন আমি নার্সাকী স্কুলের শিক্ষিকা পদে চাকরির জন্য সাক্ষাত্কার দিতে গেলাম। সাক্ষাত্কারে আমাকে প্রশ্ন করা হয়ে ছিল পৃথিবীর কোন দেশের জনসংখ্যা বেশি এবং সেই দেশের রাজধানীর নাম কি? আমি উত্তর সঠিক দিয়েছিলাম। কারণ উত্তর দিতে সাহায্য করে ছিল রেডিও পিকিং। চাকরিটা আমি পেয়ে যাই। তাই রেডিও পেইচিং বর্তমানে সিআরআই আমার অন্তরঙ্গ বন্ধু। আপনাদের চীনা কন্ঠে বাংলা ভাষা আমাকে আকৃষ্ট করে তুলেছিল। অনেক পুরস্কারও পেয়েছি বিভিন্ন প্রতিযোগিতায়। এখন ক্লাব গঠন করেছি। অনেক শ্রোতা সিআরআই শোনে ও ক্লাব পরিচালনা করে। আমার উদ্যোগে আমার এলকায় সিআরআই'র অনেক শ্রোতা তৈরী হয়েছে। আশা করি সিআরআই শতাব্দী পেরিয়ে অমর হবে। চীন হবে আমার কাছে দ্বিতীয় জন্মভূমি। বোন জোত্স্না বানু, তুমি এত সুন্দর করে তোমার কথা লিখে পাঠিয়েছো সে জন্য তোমাকে ধন্যবাদ জানাই। যদি আমাদের অনুষ্ঠান তোমার জন্য কোনো সহায়ক হয়, তাহলে এটি আমাদের সাফল্য। হ্যাঁ বোন, তোমার স্বামী প্রবরটি কি এখনও আমাদের অনুষ্ঠান শোনে। তা কিন্তু লেখনি। তাকেও আমাদের শুভেচ্ছা তোমাকে শ্রোতা ক্লাব সংগঠনে সহায়তা করার জন্য। বাংলাদেশ ও ভারতের সব স্বামীরাই যাহ এমন হতো তাহলৈ এ দু'টি দেশের নারীদের অনেক উন্নয়ন হতো। তাইনা বোন? আমরা বিশ্বাস করি, আরো বেশি শ্রোতা বন্ধুরা আমাদের কাছে এ ধরণের সুন্দর সুন্দর কথা লিখে পাঠাবে।
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা