|
প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা অবশ্যই ক্রিসমাস সম্পর্কে জানেন,তাই না? ক্রিসমাস পাশ্চাত্যের দেশসমূহের একটি ঐতিহ্যিক উত্সব।প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বরকে ক্রিসমাস বা বড় দিন বলা হয়। ১৩৮ সালে যীশু খৃষ্টের জম্মদিন পালন করার লক্ষ্যে পাশ্চাত্যের লোকজন প্রথমবারের মত ক্রিসমাস উদযাপন করে। ক্রিসমাস উত্সবে লাল, সবুজ ও সাদা-এ তিন রং নিয়ে বাড়িঘর সাজানো হয়। ক্রিসমাস ফুল ও মোমবাতি লাল হতে হয় আর ক্রিসমাস গাছ সবুজ। ক্রিসমাস বৃদ্ধ ক্রিসমাসের প্রতীক, তিনি ক্রিসমাস ডে'র পূর্ব রাতে চিমনি মাধ্যমে শিশুর বাড়িতে প্রবেশ করে ঘুমিয়ে থাকা শিশুর কাছে ক্রিসমাসের উপহার মুজার ভেতর ঢুকিয়ে দেন। সে দিন সবাই পরস্পর ক্রিসমাস কার্ড বিনিময় করে,তুর্কী-নামের বড় আকৃতির মুরগীর মাংস খায় এবং ক্রিসমাস গান গেয়ে উত্সব পালন করে। অর্থনীতির দ্রুত প্রবৃদ্ধির সংগে সংগে, চীনের সংস্কৃতিও আরো আধুনিক হয়ে উঠছে। চীনেও ক্রিসমাস আরো জনপ্রিয় হচ্ছে। এখন আপনারা যা দেখছেন তা চীনের রাজধানী পেইচিংয়ে ক্রিসমাস উপলক্ষে আয়োজিত আনন্দপুর্ণ পরিবেশ।
যেখানে সেখানে ঘোরা ফিরার ফলে উত্সবের পরিবেশে আচ্ছন্ন হচ্ছে ও সবাই উত্সবের আনন্দে মুখরিত হয়ে ওঠে। আমরা সিদান সড়কে একজন পথচারীর সাক্ষাত্কার নিয়েছি। এখন শুনুন ক্রিসমাস সম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, তিনি ক্রিসমাস উত্সব কাটাতে পছন্দ করেন। ক্রিসমাস উত্সবে সবাই খুবই আনন্দিত। তা ছাড়া, ক্রিসমাস উত্সবে কেনা কাটা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন দোকানে ক্রেতাদের নানা রকম সুযোগসুবিধা দেয়া হয়। এখন দোকানে অনেক সুন্দর জিনিস পাওয়া যাচ্ছে। ক্রিসমাস উত্সবে পরিবার-পরিজন ও বন্ধু-বান্ধবের সংগে বাইরে বেড়ানো খুব মজার।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |