Web bengali.cri.cn   
১৯৯৮ সালের লিসবন বিশ্ব মেলা
  2010-01-20 10:46:02  cri
১৯৯২ সালের সেভিল্লা বিশ্ব মেলার মত পর্তুগালের নৌ পরিব্রাজক ভাস্কো ডাগামার প্রথম ভারত যাত্রার ৫০০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ১৯৯৮ সালে লিসবন বিশ্ব মেলা অনুষ্ঠিত হয় । এর মূল বিষয় ছিল "সমুদ্র:ভবিষ্যতের সম্পদ "।

নৌ যাত্রাই ছিল লিসবন শহর সৃষ্টির প্রধান কারণ । তবে কালক্রমে লিসবন শহরে স্থাপিত হয়েছিল অনেক তেল শোধনাগার ও কসাইখানা । লিসবনের এখানে সেখানে জমা হয়েছিল আবর্জনার স্তুপ । লিসবনের এ অবস্থা পরিবর্তনের জন্য পর্তুগাল সরকার ১৯৯৮ সালের বিশ্ব মেলার আয়োজন করেছিল। র্তুগাল সরকার যেটা প প্রত্যাশা করে নি সেটা হলো , এ মেলা সমুদ্র সম্পর্কে বিশ্ববাসীদের দৃষ্টি আকর্ষণ, সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষা , এবং আন্তর্জাতিক সমুদ্র চুক্তি সম্পাদনের ব্যাপারে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারবে ।

ভাস্কোডাগামা স্মৃতি স্তম্ভ , সমুদ্র ভবন , নৌ বিদ্যাভবন ইউটোপিয়া ভবন ও ভবিষ্যত ভবন লিসবন বিশ্ব মেলার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য অট্টালিকা । সমুদ্র ভবন দেখতে একটি বিশাল জাহাজের মত । এর ভেতরে ৬০০০ ঘনমিটারের একটি পুকুরকে সামুদ্রিক জীবের একটি ছোট্ট জগত বলা যায় । নৌ বিদ্যাভবনে মানবজাতির নৌ যাত্রার ইতিহাস ও জাহাজ তৈরীর প্রণালী প্রদর্শনের পাশাপাশি মত্স্য শিকার ও ড্রিংয়ের মাধ্যমে সমুদ্রে মানবজাতির অনুসন্ধান ও সামুদ্রিক সম্পদ লুন্ঠনের চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে । ডিম্বাকার ইউটোপিয়া ভবন দেখতে একটি নভোযানের মত । ভুমিকম্প, টাইফুন ও ঝড় মোকাবিলায় মানবজাতির নিরলস প্রচেষ্টা এবং সমুদ্র ও মানবজাতির সুষম সহঅবস্থানের গুরুত্ব প্রদর্শনই এই ভবনের প্রধান উদ্দেশ্য । ভবিষ্যত ভবনে দর্শকদের জন্য সমুদ্র বিষয়ক স্টেরিওস্কপিক চলচ্চিত্র দেখানো হয়েছিল ।

মোট ১৫৫টি দেশ লিসবন বিশ্ব মেলায় যোগ দিয়েছিল । পর্তুগাল ছাড়া অন্যান্য দেশের প্রদর্শনী কক্ষ ছিল একটি যৌথ ভবনে । তরঙ্গাকৃতির যৌথ ভবনে শ্রবন ও দর্শনের দিক থেকে নতু্ন প্রকৌশল এবং কম্পিউটার প্রযুক্তির সাহায্যে নৌ-যাত্রা , সমুদ্রগর্ভে পরীক্ষাগার স্থাপন , সমুদ্রতলদেশের খনিজ সম্পদ আহরণ , শুশুকের ডাক প্রদর্শনের মাধ্যমে সমুদ্রের ওপর দর্শকের কৌতুহল সৃষ্টি করা সম্ভা হয়েছিল ।

নগর উন্নয়ন প্রকল্পের সংগে বিশ্ব মেলার উদ্যান নির্মাণের সমন্বয়ই লিসবন বিশ্ব মেলার একটি বৈশিষ্ট্য । লিসবন বিশ্ব মেলা শেষ হওয়ার পর সমুদ্র ভবন জলজ প্রাণী ভবনে এবং নৌ বিদ্যাভবন সামুদ্রিক সম্পদের গবেষণাগারে রূপান্তরিত হয়েছে। ইউটোপিয়া ভবন বহুমুখী ব্যবহারিক মিরনায়তনে মাল্টি ফানক্সন হলে পরিণত হয়েছে ।

লিসবন বিশ্ব মেলা সামুদ্রিক সংস্থা প্রতিষ্ঠা এবং বিশ্বব্যাপী সমুদ্র সংরক্ষণ কার্যক্রমের প্রসারে বিশেষ অবদান রেখেছিল । ফলে বিশ্ব পরিবারে পর্তুগালের মর্যাদা বেড়েছে ।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040