ভারতের পশ্চিম বঙ্গের বর্ধমান জেলার আরেকজন শ্রোতা জাহির আব্বাস মোল্লা তাঁর রচনায় তিনি কিভাবে সিআরআই'র বাংলা অনুষ্ঠান জানার ব্যাপর লিখেছেন। তিনি লিখেছেন, স্কুল জীবনে পড়ার সময়ই আমার মনটা কোন এক অজানা কারণে দারুন বেতার উত্সাহী হয়ে ওঠে। যার ফলে কোন একদিন রাতে রেডিওর নব ঘোরাতে ঘোরাতে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান আমার মনের অঙিনায় ধরা দেয়। সেটা মাত্র ৫বছর আগে ২০০৪ সালের ১৫ই আগষ্ট এক বর্ষনমুখর রাত। তারপর থেকে সিআরআই'র সাথে আমার পথচলা শুরু। জ্ঞানের পরিধিকে বাড়াতে আর চীনকে জানতে প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে শুনে চলেছি সিআরআই'র অনুষ্ঠান মালা। সিআরআই'র বাংলা অনুষ্ঠানকে আমি অনুভব করি আমার রন্ধ্র রন্ধ্র। এ সেন আপনাদের সুনিপুন দক্ষতায় গড়ে ওঠা এক অপার শিল্প কলা। অনুষ্ঠানের প্রতি আপনাদের মমত্ববোধ ও সারল্যের ছন্দোবদ্ধত সমৃদ্ধ প্রাণবন্ত উপস্থাপনা আমাকে ভীষনভাবে আকৃষ্ঠ করে। জাহির আব্বাস মোল্লা তাঁর আমাগের অনুষ্ঠানকে পছন্দ করার কারণও লিখেছেন। তিনি এমন লিখেছেন, চীন আন্তর্জাতিক বেতার যেমন চীন, চীনের মানুষ ও সংস্কৃতি সম্বন্ধে বেশী বেশী জানার ও বোঝার সুযোগ করে দিচ্ছে তেমনি বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্বন্ধে প্রচার এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান ও ক্রমবর্ধমান সার্বিক সহযোগিতা ভিত্তিক বন্ধুত্ব ও অংশীদারিত্বকে আরো জোরদার করতে প্রতিদিন মূল্যবান অবদান রাখছে সিআরাই'র বাংলা বিভাগ। প্রিয় শ্রোতা বন্ধুরা, আমরা জানি আপনাদের মধ্যে বেশির ভাগ প্রথমে চীনের বিষয় জানতে চান, তারপর আমাদের অনুষ্ঠান শুনেন। সেজন্য আমরা ভবিষ্যতে অবশ্যই আপনাদের অনুরোধ অনুযায়ী চীনের আরো বেশি বিষয় জানাবো।
বাংলাদেশের চুয়াড়াঙ্গা জেলার গ্লোবাল রেডিও লিসনার্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট আশরাফুল ইসলাম তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, আমি সিআরআই'র তথ্যমূলক ও আকর্ষনীয় বাংলা অনুষ্ঠান নিয়মিতভাবেই শুনছি। অনুষ্ঠানের বর্তমান প্রচার কাঠামো খুবই ভাল লাগছে। রাত দিনে একাধিক বার প্রচার হওয়ার কারণে নিজের সুবিধামত সময়ে অনুষ্ঠান শুনতে পারছি। পৃথিবীর আর কোন বেতারে অনুষ্ঠান শোনার এমন সুযোগ নেই। সেজন্য আমি সিআরআই কর্তৃপক্ষের কাছে আন্তরিকভাবে খুবই কৃতজ্ঞ। অনুষ্ঠানে চীনাদের কন্ঠে বাংলা শুনতে আমার ভীষন ভাল লাগে। তাদের উচ্চারণের মধ্যে একটা মাধুর্য খুঁজে ভাল লাগে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি চীনাদের এমন দরদ সত্যিই প্রশংসা পাবার যোগ্য। আমি একজন বাঙলী হিসেবে চীনা ভাষার জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। চীনা ভাষা শেখার জন্য আপনাদের ভাষা শেখার অনুষ্ঠান খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। তবে সহায়ক পুস্তিকা পাঠালে চীনা ভাষা শিখতে আরো সুবিধা হত। প্রোফেসার আশরাফুল ইসলাম, আমাদের অনুষ্ঠানগুলো আপনার জন্য সহায়ক হলে আমাদের অনেক আনন্দিত লাগে। আমরা শ্রোতাদের জন্য আরো সহায়ক অনুষ্ঠান তৈরীর চেষ্টা করবো।
বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার রয়েল বাবু রতন তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, সিআরআই'র বাংলা প্রচার ৪০ বছর পূর্তির মাধ্যমে বাঙালি জাতির সাথে যে দুঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। চীন ও বাংলাদেশ সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব ক্রমন্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে তার অনেক অনেক কৃতিত্ত্ব সিআরআই'র। সিআরআই'র সুদীর্ঘ পথ চলা আরো সুন্দর হোক, অনুষ্ঠান মালার শ্রীবৃদ্ধি। রয়েল বাবু রতন আপনাকে আমাদের চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উন্নয়নে পালন করার ভূমিকার প্রশংসা করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এটাও আমাদের দায়িত্ব। আমরা আশা করি, আমাদের অনুষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে শ্রোতারা চীনে আরো বেশি জানতে পারবেন এবং দু'দেশের জনগণের মৈত্রী আরো গভীর হবে।