|
বিশাল অষ্ট্রেলিয়ার আকৃতির অনুকরণে যে অষ্ট্রেলিয়া ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে তার প্রধান উদ্দেশ্য হলো , অষ্ট্রেলিয়ার প্রাণী ও উদ্ভিদের জাত , সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও বসবাসের উপযোগী শহরের সংগে দর্শকদের পরিচিত হতে দেয়া।
অষ্ট্রেলিয়া ভবনের ছাদ নির্মানের কাজ শেষ হওয়ার পর ক্ষয় প্রতিরোধক ইস্পাত দিয়ে তৈরী বহির্দেয়ালের আবরণ বসানোর কাজ শুরু হয়েছে ।২০১০ সালে সাংহাই বিশ্বমেলা শুরু হলে সাংহাইয়ের আর্দ্র বাতাসের প্রভাবে বহির্দেয়াল গাঢ় লাল হয়ে যাবে এবং এ গাঢ় লাল রঙই অষ্ট্রেলিয়ার মধ্যাংশের লালভূমির সুন্দর নিদর্শন ।
অষ্ট্রেলিয়া ভবনের বহিরাকৃতি ও রং যেমন অষ্ট্রেলিয়ার প্রাচীন কালের প্রাকৃতিক দৃশ্য তেমনি অষ্ট্রেলিয়ার আধুনিক শহরের উন্নত মানের নকশার পরিচায়ক । অষ্ট্রেলিয়া ভবনের বহিরাকৃতির নকশা বোধশক্তি-আশ্রয়ী নির্মানকাজ, নীল নকশা তৈরী ও টেকসই পরিবেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে অষ্ট্রেলিয়ার কর্মোদ্যমের প্রমান এবং সাংহাই বিশ্বমেলার মূল বিষয়ের যথার্থ ব্যাখ্যা ।
জানা গেছে অষ্ট্রেলিয়া ভবন তিন ভাগে বিভক্ত। দর্শকরা অষ্ট্রেলিয়া ভবনে প্রবেশ করলে পর্যটন শিরোনামে প্রথম ভাগের ভেতরে যেতে হবে । বস্তুত: প্রথম ভাগ ১৬০ মিটার লম্বা একটি কাঁচঢাকা সুড়ংগ পথ । সুড়ংগ পথ বেয়ে যেতে যেতে যে ছ'টি প্রদর্শনীকক্ষ চোখে পড়বে তা থেকে অষ্ট্রেলিয়ার আদিম অধিবাসীর ইতিহাস ও অষ্ট্রেলিয়ায় স্থানান্তরিত ইউরোপীয়দের জীবনযাত্রা সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যাবে ।
দ্বিতীয় ভাগ বস্তুত: একটি গোলাকার প্রেক্ষাগৃহ । এতে এক হাজার দর্শক বসতে পারবে । ১৫ মিনিটের এক ছোটো প্রামান্যচিত্র দেখে দর্শকরা অষ্ট্রেলিয়ার বিচিত্র সাংস্কৃতিক সমাজের পরিচয় পাবে ।
তৃতীয় ভাগও একটি মঞ্চ । অষ্ট্রেলিয়ার শিল্পীরা প্রতিদিন এখানে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবে ।
সাংহাই বিশ্বমেলা চলাকালে দর্শকদের কোয়েল ও ক্যাঙ্গার দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে না । তবে তারা ফেংফেং নামে অষ্ট্রেলিয়া ভবনের প্রতীক -- কুকাবুরা পাখি দেখতে পাবেন ।
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |