বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার মোহাম্মদ জুলহাস তাঁর রচনায় লিখেছেন, সত্যি মানব জীবনটা একটা রঙ্গঁ মঞ্চ। আর সেই রঙ্গঁ মঞ্চকে রূপ এবং রং দিয়ে সাজাতে গেলে অনেক সময় অনেক অবাস্তব ঘটনা এসে দেখা দেয়, তাই আমিও পারলাম না। অশান্ত বাধন হারা মনটাকে সিআরআই বাংলা অনুষ্ঠান থেকে বিরত রাখতে। রেডিওর অনুষ্ঠান শুনাই ছিল আমার শখ। ১৯৮৮ সালের আগষ্ট মাসের কোন একদিন রেডিও নিয়ে বসে আছি। রেডিওর নব ঘোরাতেই রেডিও পেইচিংয়ের মিষ্টি মধুর বাংলা ভাষার ছন্দ মিশানো কোকিল কন্ঠ, আর সে অনুষ্ঠানটি ছিল চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার ও মুখোমুখি। বাংলাদেশ ও ভারতের শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়া হল। এবং উপস্তাপক বললেন। আপনরারা এতক্ষন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান শুনলেন, তখন বুঝলাম এটা চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগের সঙ্গে আমার সখ্যতা গড়ে উঠে। চিঠি লেখা শুরু করলাম ও বাংলা বিভাগ থেকে প্রথম চিঠি পেলাম। চিঠি পেয়ে খুব খুশি হলাম। চিঠি লেখার আগ্রহ আরো বেড়ে গেল। আর এ চিঠিই আমার জীবন চলার পথে এক অভূত পূর্ব সাড়া জাগিয়ে দেয়। আজকের চীন আন্তর্জাতিক বেতার। সত্যি, বাংলা অনুষ্ঠান বৈচিত্রময় তর্থ্য নির্ভর জ্ঞান অর্জনের এক বিশাল জানালা এর কারণ, উল্লেখ করতে গিয়ে অনেক কথাই উল্লেখ করতে হয়। দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে সিআরআই বাংলা অনুষ্ঠান জ্ঞানের পরিধিকে শ্রোতাদের মধ্যে প্রসারিত করেছে। গত ১৫ই জুলাই থেকে নতুন আঙ্গিকের বর্ধিত অনুষ্ঠানের ধারা শ্রোতারা নানা ভাবে উপকৃত হচ্ছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস সিআরআই বাংলা অনুষ্ঠান আরো সুন্দর আকর্ষনীয়ও ব্যাপক শ্রোতা সংখ্যা বৃদ্ধি হোক এই কামনা করি। মোহাম্মদ জুলহাস আপনি আমাদেরকে অভিনন্দা জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানাই। আশা করি, আপনি অব্যহতভাবে আমাদের অনুষ্ঠানগুলোকে সমর্থন করবেন।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বধমান জেলার ইন্টারন্যাশনাল মিতালি লিসনার্স ক্লাবের হাফিজুর রহমান তাঁর রচনায় লিখেছেন, চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগের অনুষ্ঠান নিরপেক্ষ বিশ্ব সংবাদ এবং তারপর সমসাময়িক বিষয়ের উপর তথ্যপূর্ণ ও বস্তুনিষ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণধর্মী স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক তথ্য প্রচার আমাদের কাছে এক অমূল্য সম্পদ। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগের সুক্ষ্ম বিচরধর্মী ও মর্মস্পর্শী বিশ্লেষণ যে কোন শ্রোতার মনে গভীর আলোড়ন সৃষ্টি করে। ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানগুলি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগের বহু মস্তিন্ক প্রসূত উন্নত মনন ও চিন্তার ফসল যা ভিন্নমূখী শ্রোতাদের জ্ঞান বৃদ্ধিতে সহায়ক হচ্ছে। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগের কল্যানে আমাদের প্রতিটি সকালই হয় অন্যরকম আনন্দদায়ক, প্রতিটি সকালই যেন সম্পুর্ন নতুন ও তরতাজা। এই সমস্ত অনুষ্ঠানের নামে ও উপস্থাপনার স্টাইলে রয়েছে নতুনত্ব ও অভিনবত্ব, রয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া। যা আমাদের কাছে অত্যন্ত গর্বের ও আনন্দের। প্রতিদিন বিশ্বে যত রকম ঘটনা ঘটে আপনাদের স্বল্প পরিসরের অনুষ্ঠানে তার সবটুকু তথ্য দেয়া কারও সম্ভব নয়। তবে আপনারা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো প্রচার করে থাকেন। ফলে আমরা যারা চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি, আমরা ভীষণ ভাবে উপকৃত হই। নিরপেক্ষ ও সত্যনিষ্ঠ সংবাদ এবং তথ্যপূর্ণ, মনোমুগ্ধকর অনন্য সাধারণ ম্যাগজিন অনুষ্ঠান প্রচারে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগ আজ শীর্ষ বাংলা বেদারগুলির অন্যতম রেডিও প্রতিষ্ঠান। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বাংলা অনুষ্ঠান একটি বিশাল পরিবার হিসাবে গড়ে উঠেছে। বিশ্বজোড়া চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগের পরিবারের একজন শ্রোতা হিসাবে আমি গর্বিত। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগ সত্যের পুজারী। সত্য প্রতিষ্ঠা এবং আর্ত ও মানবতার কথা প্রচারে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগ আজকের দিনের একটি সম্পূর্ণ বেতার প্রতিষ্ঠান। আজকের দিনে আপনাদের এবং চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগের উন্নয়ন, সমৃদ্ধি, সুনাম ও সুখ্যাতি কামনা করি। আমি গভীর আগ্রহ নিয়ে আপনাদের অনুষ্ঠান শুনি। অনুষ্ঠান শোনার পাশাপাশি নিয়মিত বাংলা ওয়েবসাইট দেখি। নিরন্তন উন্নতি এবং বিষয় বুস্তুর সমৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই ওয়েবসাইট দিন দিন আরো বেশি পাঠকের মনোযোগ আকর্ষন করছে। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগের অনুষ্ঠানের সংস্পর্ষে থেকে মনটা আনন্দে ভরে ওঠে, পাই আনাবিল সুখানুভুতি। আপনাদের প্রতিটি অনুষ্ঠান আমার অত্যন্ত প্রিয়। খুব ভালো লাগে। যা আমাদের দারুণভাবে মুগ্ধ করে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগের সকল কর্মীর পরিশ্রম, প্রচেষ্টা ও শ্রোতাবন্ধুদের ব্যাপক সাহায্যে ভবিষ্যতে বাংলা বিভাগের উন্নয়ন আরো উজ্জলতর হয়ে উঠবে। হাফিজুর রহমান, আপনার প্রত্যাশা ও বিশ্বাস আমাদেরও। সবাই শ্রোতাদের সাহায্যে আমারা আরো অগ্রগতি হবে।