|
এ মূর্তিটি তৈরী করেছেন জিম্বাবুয়ের শিল্পী নিউম্যান সিয়াজুয়া । তার বয়স এখন ৫২ বছর ।
সি আর আই সংবাদদাতাকে দেয়া এক সাক্ষতকারে নিউম্যান সিয়াজুয়া এ মূর্তি নির্মানের কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন , তাঁর দৃষ্টিতে সাংহাই বিশ্ব মেলার প্রতীকের অর্থ হলো বিশ্ব পরিবার , কোনো একক বা ছোট পরিবার নয় , । তা ছাড়া এটা সারা বিশ্বের মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও বিশ্ব মেলার সার্থকতার জন্য তাদের আকাংক্ষার পরিচায়ক ।
পাথরের মূর্তিকে জিম্বাবুয়ের অনন্য লোক শিল্পের প্রতিনিধি বলা যায় । তিনি বলেন ,মাটি খুঁড়ে বের করা একটি প্রাচীন পাখির মূর্তিকে এখন তাঁর দেশের ভাবমূর্তি হিসেবে গণ্য করা হয় এবং তা জিম্বাবুয়ের জাতীয় প্রতীক ও জাতীয় পতাকায় অংকিত হয়েছে । এ প্রসংগে নিউম্যান সিয়াজুয়া আরো বলেন , জিম্বাবুয়ে প্রাচীন পাথরের প্রতিমূর্তি জাতির ইতিহাস ও সংস্কৃতির নিদর্শন এবং পূর্বপুরষদের জীবন ও ভাব জানার একটি আয়না বলে অভিহিত করা হয় ।
নিউম্যান সিয়াজুয়া জোর দিয়ে বলেন , "শহরের সুন্দর জীবন " হলো সাংহাই বিশ্ব মেলার মূল বিষয় । শিল্পকলা মানুষের জীবনের উন্নতির জন্য বিশেষ করে মানবিক জীবনের বৈচিত্র্য ও নৈতিকতার নির্মলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে । প্রাচীন আফ্রিকা মহাদেশ থেকে আসা এ শিল্পকর্ম বিশ্বের মঞ্চ হিসেবে সাংহাই বিশ্ব মেলায় এ ধরনের ভূমিকা পালন করতে পারবে।
জানা গেছে , আফ্রিকার যৌথ ভবনের মেঝের আয়তন ৩৪ হাজার ৫০০ বর্গমিটার , সাংহাই বিশ্ব মেলার ১১টি যৌথ ভবনের মধ্যে আফ্রিকার যৌথ ভবনই সবচেয়ে বড় এবং আগেকার বিশ্ব মেলায় আফ্রিকার যৌথ ভবনের চেয়ে অনেক বড় । এটা হবে ৪২টি আফ্রিকান দেশ ও আফ্রিকান ইউনিয়নের অভিন্ন পরিবার ।
আফ্রিকার যৌথ ভবনের বিভিন্ন কক্ষে আফ্রিকার ভাস্কর্যকর্ম, বাদ্যযন্ত্র, মুখোশ ,মৃতপাত্র, জাতীয় পোষাক , অলংকার , ডাকটিকিট , ধাতব মুদ্রা সহ বহু ঐতিহ্যিক দ্রব্য প্রদর্শিত হবে ।
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |