|
২২ নভেম্বর চার দিনব্যাপী চীনের আন্তর্জাতিক পর্যটন বিনিময় সভা ২০০৯ ইউয়ুনান প্রদেশের খুনমিংয়ে শেষ হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার দশটি পর্যটন সংস্থার ১০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি এবারের সভায় অংশ নিয়েছেন। ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন মহলের কর্মকর্তারা চীনের পর্যটন ক্ষেত্রের সঙ্গে ভবিষ্যত সহযোগিতার সম্ভাবনার ব্যাপারে আস্থাবান।
ইন্দোনেশিয়ার সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বাজার উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক সামসুল লুসা বলেছেন, 'এ বছরের জানুয়ারী থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ায় আসা চীনা পর্যটকের সংখ্যা ছিল গত বছরের অনুরূপ সময়ের চেয়ে প্রায় ২০ শতাংশ বেশি। এ থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, চীনের বাজারের বিরাট সুপ্ত শক্তি রয়েছে। আমরা পরবর্তীকালের সম্ভাবনার ওপর অত্যন্ত আস্থাবান। আমরা বিশ্বাস করি, চীনের পর্যটকের সংখ্যা বাড়তে থাকবে। আগামী বছর ইন্দোনেশিয়া আর চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৬০তম বার্ষিকী। এ সুযোগে আমরা চীনে ধারাবাহিক পর্যটন প্রচার কর্মসূচির আয়োজন করবো। তা ছাড়া আমরা পেইচিংয়ে পর্যটন পরামর্শ কার্যালয়ও খুলবো। পরে শাংহাই বা কুয়াংচৌতেও কার্যালয় খুলবো। যাতে চীনা পর্যটকদেরকে ইন্দোনেশিয়া সম্পর্কিত আরো বেশি পর্যটন সংক্রান্ত তথ্য দেয়া যায়।'
বিনিময় সভায় অংশগ্রহণকারী ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন ব্যবসায়ীরা মনে করেন, আগামী বছরের ১ জানুয়ারী চীন ও আসিয়ানের অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল প্রতিষ্ঠা ও সেবা বাণিজ্যের অবাধ বাস্তবায়নের পাশাপাশি এ অঞ্চলের পর্যটন শিল্পের প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষমতারও যথেষ্ট উন্নতি হবে। ইন্দোনেশিয়ার উত্তর সুমাতেরা প্রদেশের সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরোর মহাপরিচালক মাদাম নুরলিসা গিনতিং বলেন, 'চীন ও আসিয়ানের অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল আগামী বছর প্রতিষ্ঠিত হবে। এটা পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে। আমরা বিশ্বাস করি, তখন আরো বেশি সহযোগিতা ও চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। যাতে চীনসহ অন্যান্য দেশ আরো সহজে আসিয়ানের বাজারে প্রবেশ করতে পারে। বিভিন্ন দেশের পরিসেবার মানও তখন প্রায় একই হয়ে যাবে। আমরা মনে করি, এটা একটি চ্যালেঞ্জ, এর ইতিবাচক তাত্পর্য রয়েছে।' (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে)
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |