এখন আপনারা চীনের বিখ্যাত কন্ঠ শিল্পী সোং জু ইংয়ের গাওয়া 'ভালো দিন' নামে গানটি শুনছেন। গানের কথা এমন, 'আনন্দময় ঢাক-ঢোলের আওয়াজে প্রতি বছরের সুখী জীবন বাজে। সুন্দর নাচ গান সুখী ও আনন্দ সৃষ্টি করে। আজ এক ভালো দিন। আগামীকালও ভালো দিন। আমরা স্বদেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি উপভোগ করি।'
পেইচিংয়ের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জনসাধারণ গানের তালে তালে নাচ করে ভবিষ্যতে তাঁদের নিজেদের স্বপ্নের চিন্তাভাবনা প্রকাশ করেন। পেইচিংয়ের ফাংথাই অঞ্চলের নান ইউয়েন জেলার প্রধান লি চুং বলেন,
'আমরা ফাংথাই অঞ্চলের নান ইউয়েন জেলার দুটি গণ সাংস্কৃতিক দল আমাদের অঞ্চলের অন্য ৩০০০এর মতো লোকের সঙ্গে আজকের এ মনোজ্ঞ সম্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। আমাদের নাচের নাম দেয়া হয়েছে 'সমৃদ্ধ যুগের আনন্দময় ঢাক-ঢোল। নয়া চীন প্রতিষ্ঠার ৬০ বছর আর সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ চালু হওয়ার ৩০ বছর পর আমরা সাধারণ মানুষের জীবন ধনী হওয়ার পর আমরা এ উদযাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মহা দেশের প্রতি মনের উপহার দিতে চাই।'
অনুষ্ঠানের তৃতীয় অংশ 'এ বিস্তীর্ণ মাটি'-এর প্রধান বিষয় হলো সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ এবং বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি ও নতুন সাফল্য। আলোক কিউবে আতশবাজি দিয়ে তুষার পাহাড়, রেলপথ ও রেলগাড়ি ছিংহাই-তিব্বত মালভূমি পার হওয়ার দৃশ্য দেখানো হয়েছে। এমনকি শেনচৌ মহাকাশযান মহাশূন্যে উতক্ষেপনের ঐতিহাসিক দৃশ্যও দেখানো হয়েছে।
পেইচিং শহরের ছোংওয়েন অঞ্চলের ইয়াং বো সিন সংবাদদাতাকে বলেছেন, সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ চীনের আকাশ পাতাল পরিবর্তন বয়ে এনেছে। তিনি বলেন, 'নয়া চীন প্রতিষ্ঠার সময় আমার বয়স তখন কেবল পাঁচ, ছয় বছর। আমি পুরনো সমাজ থেকে এসেছি। ফলে আরো স্পষ্টভাবে উপলব্ধি করি যে, বর্তমানে আমাদের দেশ সত্যিই শক্তিশালি হয়েছে। আমাদের মাতৃভূমিকে প্রশংসা করা উচিত। এ সুষম সমাজ ও সুন্দর জীবনকে প্রশংসা করা উচিত।'
এখন আপনারা চীনের মূলভূভাগের থু হোং কাং, হংকংয়ের শিয়ে টিং ফাং আর তাইওয়ানের শিং থিয়েন পিংয়ের সমবেত কণ্ঠে গাওয়া 'বড় চীন' গানটি শুনছেন। গানের কথা এমন, 'আমাদের একটিই পরিবার আছে। তার নাম চীন। ভাই-বোন অনেক। দৃশ্যও সুন্দর। বাড়িতে দুটি বড় ড্রাগন আছে। সেটা হচ্ছে ছাংচিয়াং নদী ও হোয়াংহো নদী। চুমোলাংমা হচ্ছে সর্বোচ্চ পর্বত। চীন, তুমি চিরকাল আমার মনে আছো। তোমার সুখ-সমৃদ্ধি কামনা করি।
অনুষ্ঠানের চতুর্থ অংশ 'সব দিকে উজ্জ্বল সূর্যালোক'-এর সূচনা সংগীত হচ্ছে 'সূর্যালোক ভরা পথে'। চীনের বিখ্যাত কণ্ঠ শিল্পী ফাং লি ইউয়ান এ গানটি গেয়েছেন। তখন ছাংআন রাস্তার ওপরের আকাশে আতশবাজি দিয়ে ৬০টি শান্তি কবুতর জ্বালিয়েছে। এ কবুতরগুলো পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে উড়ে যাচ্ছিল।
চতুর্থ অংশের শেষে হু চিন থাওসহ পার্টি ও রাষ্ট্রীয় নেতৃবৃন্দ থিয়েন-আন-মেন তোরণ-ভবন থেকে নেমে জনসাধারণের মধ্যে এসে হাতে হাত রেখে নৃত্য করে জাতীয় দিবস উদযাপন করেন।
শ্রোতাবন্ধুরা, এখন আপনারা প্রেসিডেন্ট হু চিন থাওসহ চীনের নেতৃবৃন্দ আর অংশগ্রহণকারী সকল জনসাধারণের সঙ্গে সমবেত কণ্ঠে গাওয়া 'দেশের জন্য গান গাই' নামে গানটি শুনছেন। গানের কথা এমন, 'পাঁচ তারা লাল পতাকা বাতাসের মধ্যে বয়েছে। জয়গান কত জোরালো। প্রিয় স্বদেশ আমরা তোমার জন্য গান গাই। আজ থেকে আরো সমৃদ্ধ পথে চলে যাবো।' সেই সময় আকাশে আতশবাজি দ্বারা লেখা 'জনগণ জিন্দাবাদ' এ চারটি বড় অক্ষর দেখানো হয় এবং পর পর সবুজ বসন্তকাল, লাল গ্রীষ্ককাল, সোনার শরত্কাল এবং রূপালি শীতকাল এ চার ঋতুর দৃশ্য দেখানো হয়। আতশবাজির আলোতে পেইচিংয়ের রাতের আকাশের দৃশ্যকে অনেক সুন্দর করে তুলেছে।(ইয়ু কুয়াং ইউয়ে) 1 2 3 |