১ অক্টোবর রাতে চীনের রাজধানী পেইচিংয়ে মহাসমারোহে চীন গণ প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ৬০তম বার্ষিকী প্রীতি সম্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। চীনের রাষ্ট্রীয় নেতৃবৃন্দ ৬০ হাজারেরও বেশি জনসাধারণের সঙ্গে সম্মিলিত হয়ে দিনটি উদযাপন করেছেন। থিয়েন-আন-মেন মহাচত্বর আনন্দের সাগরে পরিণত হয়েছে। আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদের এ সম্মিলনী অনুষ্ঠানের চমত্কার অংশ বিশেষের রেকর্ডিং শোনাবো। আপনারা আমাদের সঙ্গে চীনাদের মনের আনন্দ অনুভব করুন।
পেইচিংয়ের থিয়েন-আন-মেন মহাচত্বরে জাতীয় পতাকার মাস্তুলকে কেন্দ্র করে গঠিত 'লাইট কিউব' নামে পরিদর্শন এলাকার আয়তন ৯ হাজার বর্গমিটার। ছাংআন রাস্তার প্রধান অংশ আর থিয়েন-আন-মেন মহাচত্বরের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে মোট ১৩টি পরিদর্শন এলাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পেইচিংয়ের বিভিন্ন জেলার সাধারণ জনগণ এসে এতে প্রদর্শন করেন। গণ বীরদের স্মৃতি মিনারের সামনে ৯০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২৫ মিটার প্রস্থের একটি পর্দা রয়েছে। এর ওপরে বিভিন্ন ধরনের আতশবাজি দিয়ে বানানো প্রাণবন্ত ছবি দেখানো হয়।
রাত আটটায় উঁচ্চ আকাশে পতপত করে উড়ানো পাঁচ তারা পতাকার নিচে একজন কিশোর তূরী বাজিয়ে সম্মিলনী অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। অংশগ্রহণকারী জনসাধারণ হাতের রঙিন রেশমী ফিতা ও প্রতিপ্রভা লাঠি চালনা করে সমবেত কণ্ঠে 'আমার মাতৃভূমি' গানটি গেয়েছেন। 'লাইট কিউব' যথাক্রমে 'জাতীয় দিবস', 'স্বদেশের দীর্ঘজীবী হোক'সহ নানা লেখা আর সোনার পাঁচ তারা, সমৃদ্ধ বন ও মহাপ্রাচীরসহ নানা নকশা প্রকাশিত হয়।
সম্মিলনী অনুষ্ঠানের কেন্দ্রীয় মঞ্চ – লাইট কিউব প্রদর্শন এলাকা ৪০২৮টি আলোক গাছ দিয়ে সাজানো হয়। তা দিয়ে যে কোন সময় বিভিন্ন ধরনের লেখা বা ছবি প্রদর্শন করা যায়। ১০০ মিনিট স্থায়ী সম্মিলনী অনুষ্ঠানে সহস্রাধিক ছবি দেখানো হয়েছে।
লাইট কিউবের বাইরে রয়েছে ৬০ হাজার জনসাধারণ। সম্মিলনী অনুষ্ঠানের প্রধান পরিচালক চিয়া ডিং বলেন, 'জনগণ একসাথে দলীয় নৃত্য করেন। আমরা তাঁদেরকে কোন বিশেষ নৃত্য করার নিয়ম নির্ধারণ করি নি। তাঁরা প্রধান মঞ্চে পরিবেশিত সংগীত অনুযায়ী নিজের পছন্দের মত নাচ করেন।'
1 2 3 |