১৯৭১ সালে চীন জাতিসংঘে তার ন্যায্য আসন পুনরুদ্ধারের পর জাতিসংঘে সাতজন উপমহাসচিব পাঠিয়েছে। সাতজনের মধ্যে তিনজন নান চিং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ডিগ্রী ধারী। বর্তমানে উপমহাসচিব শা জু খাংও নান চিং বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন স্নাতক।
জানা গেছে, নান চিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণামূলক প্রকাশিত প্রবন্ধের সংখ্যা একটানা সাত বছরে চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম স্থানে হয়েছে। বর্তমানে নান চিং বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় মাইক্রোস্ট্রাকচারাল পরীক্ষাগার নির্মাণ করছে। এ পরীক্ষাগার পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, ইলেকট্রন ও বিভিন্ন উপকরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের চার শোজন গবেষক ও এক হাজার স্নাতকোত্তর যৌথ গবেষণক হিসেবে কাজ করবে।

গত শতাব্দীর ৮০ দশক থেকে নান চিং বিশ্ববিদ্যালয় বেশ কিছু বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। নান চিং বিশ্ববিদ্যালয় ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ছি জনস হোপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠার চীন-মার্কিন সাংস্কৃতিক গবেষণা কেন্দ্র হচ্চে চীন গড়ে তোলা প্রথম ও সবচেয়ে সফল আন্তঃদেশীয় একাডেমিক গবেষণা সংস্থা। জার্মানীর গোর্গ অগাস্ট ইউনিভাসির্টি অব গোটিংগেনের সঙ্গে যৌথ নির্মাণের চীন-জার্মানী অর্থনৈতিক আইন গবেষণা সংস্থাও চমত্কার সাফল্য অর্জন করেছে। চাং রোং বলেছেন, নান চিং বিশ্ববিদ্যালয় পাঠক্রমের বিষয়, বিদগ্ধ ও পন্ডিত এ তিনটি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকীকরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেছেন, (৩)
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় বিশজন বিদেশী শিক্ষক রয়েছে। বিদেশে লেখাপড়ার পর চীনে ফিরে আসা চীনা পন্ডিতের সংখ্যা দু'শোজনেরও বেশি। প্রতি বছর আমাদের ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে কয়েক শোজন বিদেশে স্বল্পকালীণ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।

1 2 3 |