তরমুজ বীজ বিক্রীর সময় নিয়ান কুয়াং চিউ একদিনে সর্বোচ্চভাবে ১০ কিলোগ্রাম তরমুজ বীজ বিক্রী করেছেন। এর মধ্যে তিনি ৪০ ইউয়ানেরও বেশি টাকা পেয়েছেন। এটা হলো সেসময় একটি সাধারণ পরিবারের ২ মাসের বেতন। নিয়ান কুয়াং চিউ বেশি শব্দ না জানা হলেও ব্যবসা ক্ষেত্রে তিনি নিজের বেশি অভিজ্ঞতার সারসংকলন করেছেন। তরমুজ বীজ রান্না সম্বন্ধেও তিনি বেশ কয়েকটি উপায় নিয়ে ভিন্ন স্বাদের তরমুজ বীজ তৈরী করেছেন।

এভাবেই তিনি দ্রুততার সঙ্গে বেশি আয় করেছেন। তবে সেসময় ব্যক্তিগত ব্যবসা আরও দেশের নিষিদ্ধ ব্যাপার। এ জন্য রাস্তায় তরমুজ বীজ বিক্রীর মাধ্যমে নিয়ান কুয়াং চিউ বেশ ঝুঁকি বহন করেছেন। এ সম্পর্কে তিনি স্মরণ করে বলেন: " তরমুজ বীজ বিক্রীর সময় শিল্প ও বাণিজ্য বিভাগের কর্মীরা মাঝে মাঝে আমার পিছনে চলে এসেন। কারণ তরমুজ বীজ এবং চা বিক্রী এমন ছোট আকারের ব্যক্তিগত ব্যবসা সব আইনের বিরুদ্ধে লংঘন করেছে।"

১৯৭৮ সালে নিয়ান কুয়াং চিউর তরমুজ বীজ ব্যবসা একটি নতুন সূচনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বছরে চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের শুরুর প্রতীক --চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির তৃতীয় অধিবেশন পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এটা নিয়ান কুয়াং চিউর জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্য রয়েছে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন: " অনেক মানুষ আমাকে বলেছেন, কুয়াং চিউ, এখন দেশের নীতি পরিবর্তন হয়েছে। আপনার জন্য বেশ সুযোগ এনে দিয়েছে।আমিও মনে করি, আমার সুযোগ এসেছিলে।"

বহু বছরের ব্যবসা চালার মাধ্যমে নিয়ান কুয়াং চিউর বেশ বাণিজ্যিক অভিজ্ঞতা রয়েছে। তরমুজ বীজ বিক্রীর ওপর তিনি একটি নতুন নীতি পালন করেছেন। তা হলো ভোক্তারা বেশি তরমুজ বীজ কেনা করলে , নিয়ান কুয়াং চিউ আরও অন্যান্য ধরণের জিনিস প্রদান করেন। এভাবেই প্রতিদিন তার দোকানের বাইরে একটি দীর্ঘ লাইনে লোকজন দাঁড়িয়ে যায়।

এ সম্পর্কে তিনি বলেন: " ১৯৮০ সালের ৮ আগস্ট আমার দোকানের বাইরে কয়েকটি শব্দ লেখা হয়েছে যে, ' শা চি' তরমুজ বীজ কেলে আপনি আরও ৭ চিয়াও-এর তরমুজ বীজ বেশি পেতে সক্ষম। আমার মনে আছে, সেদিন থেকে আমার তরমুজ বীজ ব্যবসা আস্তে আস্তে বড় হয়ে উঠেছে। "