জানা গেছে, চান্দ্র পঞ্জিকা অনুযায়ী ১ মার্চ লিং শান মন্দিরের ঐতিহ্যবাহী মেলা বসে। সে সময় আকাঁবাকাঁ পাহাড়ি পথে মানুষ আর গাড়িতে ভরে যায়। পিক-আওয়ারে প্রতি দিন পর্যটকের সংখ্যা থাকে প্রায় ১০ হাজার।
লিং শান মন্দিরের পর আমরা এক সঙ্গে চি কোং শান পাহাড়ে যাবো। দক্ষিণ-পূর্ব সিন ইয়াং শহরের চি কোং শান পাহাড় হচ্ছে চীনে গ্রীষ্ম অবকাশ কাটানোর বিখ্যাত স্থানগুলোর মধ্যে একটি। চি কোং শান পাহাড়ের বাও সিয়াও চূড়া সমুদ্র সমতল থেকে ৭শ' মিটার উঁচুতে। দেখতে একটি মাথা তুলে দাঁড়ানো মুরগের মতো। চি কোং শান পাহাড়ের নামও এর থেকে এসেছে।
চি কোং শান পাহাড়ে ১২ শতাধিক জাতের বৃক্ষ আছে। বছরের চার ঋতুতে সেখানকার দৃশ্য বদলে যায়। গ্রীষ্মকালে যখন পাহাড়ের বাইরে ভীষণ গরম পড়ে, তখন চি কোং শান পাহাড়ের আবহাওয়া হালকা ঠাণ্ডা ও আরামদায়ক।
লিং শান মন্দির ও চি কোং শান পাহাড় ছাড়া সিন ইয়াং-এ নান ওয়ান হ্রদ আছে। নান ওয়ান হ্রদের আয়তন হাংচৌয়ের পশ্চিম হ্রদের আয়তনের ১২ গুণ। নান ওয়ান হ্রদ দর্শনীয় স্থান হোনান প্রদেশের সিন ইয়াং শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে। ৭৫ বর্গকিলোমিটারের নান ওয়ান হ্রদে বড় ও ছোট আকারের ৬১টি দ্বীপ আছে। জানা গেছে, পাখি দ্বীপের প্রতিটি জায়গায় পাখির অবাধ বিচরণ। এমন কোনো সময় নেই যখন পাখির কিচিরমিচির শোনা যায় না। প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ পাখি উড়ে এসে দ্বীপটিকে পরিণত করে পাখির অরণ্যে। নান ওয়ান হ্রদের প্রাণী বৈচিত্র্যও ব্যাপক। প্রায় ১ হাজারেরও বেশি। সেখানে জাতীয় পর্যায়ে সংরক্ষিত প্রাণীর মধ্যে আছেঃ বানর, ইয়াংজি কুমির ও এক ধরনের ল্যাজ ঝোলা রঙীন পাখি। এছাড়াও নান ওয়ান হ্রদ হচ্ছে প্রাকৃতিক অক্সিজেন বার। সেখানকার বনের আবৃতির হার ৭৫ শতাংশেরও বেশি।
1 2 3 4 |