চাং আই চিয়া তার নিজের সম্পর্কে বলেন, 'মনোযোগ ও আন্তরিকতা দিয়ে অভিনয়ের পথটি আমি বেছে নিয়েছি।' চলচ্চিত্রাঙ্গনে প্রবেশের মাত্র ৪ বছর পর তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্বঅভিনেত্রী হিসেবে গোল্ডেন হর্স অ্যাওয়ার্ড পান।
চলচ্চিত্র জগতে ১০ বছরের মাথায় 'আমার দাদা (My grandfather)' চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে গোল্ডেন হর্স অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। সে সময় দর্শকরা তার অভিনয়ের কৌশলে যথেষ্ট স্বীকৃতি দিয়েছেন। তবে তিনি শুধু একজন অভিনেত্রী হিসেবেই কাজ করতে চাননি। তিনি চলচ্চিত্র পরিচালক এবং চিত্রনাট্যকারের দায়িত্ব পালন শুরু করেন।
১৯৮৬ সালে চাং আই চিয়া তার পরিচালিত এবং অভিনীত 'প্যাশন' (Passion) চলচ্চিত্রের জন্য গোল্ডেন হর্স অ্যাওয়ার্ড এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে হংকং ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। পাশাপাশি এই চলচ্চিত্রের জন্য গোল্ডেন হর্স অ্যাওয়ার্ডসের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালকের মনোনয়ন পান তিনি।
তার পরিচালিত চলচ্চিত্রের বেশিরভাগই হলো আর্ট ফিল্ম। ফিল্মে নারীদের ভাবানুভূতি বিশেষভাবে প্রকাশিত হয়েছে। তার চলচ্চিত্রে ফুটে উঠেছে যৌবনের সৌন্দর্য ও নিষ্ঠুর দিকগুলো। যেমন 'Tempting Heart' এবং 'siao yu 'তে রয়েছে বয়স্কদের দ্বন্দ্ব ও বিব্রতকর মুহূর্তগুলো। 'Passion' এবং '২০,৩০,৪০', ফিল্মে রয়েছে বয়স্কদের অসহায়ত্বের চিত্র। এসব চলচ্চিত্রে অনুভূতির সূক্ষ্ম প্রকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন বয়সের দর্শক নিজেদের ছায়া দেখতে পেয়েছেন।