![]( /mmsource/images/2008/04/24/c5ciASg6ek63r30l.gif)
এছাড়া পর্যটকদের চোখ আটকে যাবে শিল্পীদের চমকপ্রদ শৈলীতে। লোক শিল্প হোফাং সড়কের একটি সাধারণ দৃশ্য। মাটির পুতুল, টেরাকোটা ভাস্কর্য, ঘাস দিয়ে তৈরি গঙ্গাফড়িং ও মিশ্রি পুতুলের শিল্পীরা এখানে আছেন। ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ শিল্পী চি ছাং ই অবসর নিয়েও আবার এখানে কাজ শুরু করেছেন। হোফাং সড়কের প্রশাসনিক কমিটির নেতা জানতে পারেন যে তিনি মিশ্রির পুতুল তৈরী করতে পারেন। তাই তাকে সেই চমকপ্রদ শৈলী দেখানোর জন্য আমন্ত্রণ জানান। বৃদ্ধ চি বলেন,
৬ বছর ধরে আমি এখানে মিশ্রির পুতুল তৈরি করছি। ছোটবেলা থেকেই আমি এটা করি। এটা করতে করতে কয়েক দশক পার হয়ে গেছে। আমি সব আকারের এবং কয়েকশ' রকমের জিনিস তৈরী করতে পারি। শিশু, প্রৌঢ় এবং বিদেশী পর্যটকরা আমার মিশ্রির পুতুল কেনে। আমি ৫৫ বছর ধরে মিশ্রির পুতুল বিক্রি করি।
![]( /mmsource/images/2008/04/24/5GY73TvkBT1kOqU1l.gif)
হোফাং সড়কের সমৃদ্ধ ইতিহাস বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের পর্যটকদেরকে আকর্ষণ করে। এখন এর আয়তন ১৩.৬ হেকটর। এখানে হাংচৌ-এর সবচেয়ে প্রতিনিধিত্বমূলক ঐতিহাসিক, ব্যবসায়িক, লোকজ বা স্থাপত্য সংস্কৃতি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রবাসী চীনা ওয়েই ছেং হো আজই হোফাং সড়কে বেড়াতে যাচ্ছেন। তিনি সড়কটির প্রশংসা করে বলেন,
![]( /mmsource/images/2008/04/24/10a2601efc90a510fc9c4b6f041.gif)
এটা আমার প্রথম হোফাং সড়কে যাওয়া। আগে আমি জানতাম না এখানে এতো সুন্দর ও পুরনো রীতির পুরাতাত্ত্বিক আবহের একটি সড়ক আছে। কারণ আগে আমি চীনা ভাষা শেখাতাম, তাই চীনের ইতিহাস সম্পর্কে কিছুটা জানি। সড়কটিতে বেড়াতে যাওয়া কুংফু ছায়াছবি দেখার মতো। আমি কিছু হস্তশিল্প কিনেছি। সুযোগ পেলে আমি পরিবারের সবাইকে এখানে নিয়ে আসতে চাই। এতো সুন্দর জায়গা আসলে খুব কম দেখা যায়, আমাদের মতো প্রবাসী চীনাদের কাছে চীনের সংরক্ষিত এ সব ঐতিহ্যবাহী জিনিস দেখলে খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে হস্তশিল্পগুলো খুবই ভালো। সবচেয়ে গভীর হচ্ছে এ সব স্থাপত্য, তারপরই হস্তশিল্প। আমি তাদের কাজ দেখে ভীষণ খুশি, এই ভেবে যে তাদের এমন মেধা আছে।
1 2 3 4
|