হোফাং সড়কের প্রবেশদ্বারে রয়েছে একটি তামার মৈত্রীয়া বুদ্ধমূর্তি অর্থাত্ যে বুদ্ধ ভবিষ্যতে আবির্ভূত হবেন তার মূর্তি। ওপরে শতাধিক দাঁড়িয়ে, বসে বা শুয়ে থাকা শিশু আছে। এটা হচ্ছে বিখ্যাত আধুনিক তামা ভাস্কর চু বিং ইউয়ানের শিল্প-কর্ম। অনেক পর্যটক এখানে 'মৈত্রীয়া বুদ্ধের' মতো সদা হাস্যময় ছবি তোলেন। হোফাং সড়কে পাও হো থাং আছে। এটা হাংচৌ-এর বিখ্যাত ওধুধের দোকান। এক সময় দোকানটি বিনাপয়সায় মানুষকে ওষুধ দিতো। চীনা জনগণের কাছে এ ওষুধের দোকানটি খুবই পরিচিত। পাও হো থাং ওষুধের দোকান হোফাং সড়কের হুয়া কুয়াং উদ্যানপথের প্রবেশদ্বারে অবস্থিত। পাও হো থাং ছাড়া আরেকটি বিখ্যাত ওষুধের দোকান আছে। সেটির নাম হু ছিং ইউ থাং। ১৮৭৪ সালে বিখ্যাত ব্যবসায়ী হু স্যুয়ে ইয়ান দোকানটি চালু করেন। হু ছিং ইউ থাং-এর আয়তন ৪ সহস্রাধিক বর্গমিটার। এটা চীনে সংরক্ষণ করে রাখা ছিং রাজবংশের হুই স্টাইলের স্থাপত্য। শান সিয়ান পিং বলেন,
মোট ৪৮টি সোনালী হরফের সাইনবোর্ড আছে। এ গুলো পণ্যের গুণ প্রচারের একটা বিশেষ কায়দা। সব সাইনবোর্ড জিংকো গাছের কাঠ দিয়ে তৈরী। এ ধরনের সাইনবোর্ডের দোকানকে সত্যভাষী বলে ধরা হয়। ঐ বোর্ডটা দেখুন—চেন বু এর চিয়া। ডান দিক থেকে বাম দিকে পড়লে 'চেন বু এর চিয়া' মানে খাঁটি জিনিসের দুই দাম হয় না। বাম দিক থেকে ডান দিক পড়লে 'চিয়া এর বু চেন' মানে দাঁড়ায় দুই দামে খাঁটি জিনিস মেলা সম্ভব না।
হো ফাং সড়কে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ স্থাপত্য ছাড়াও চোখ জুড়ানো ও জিহবায় জল আনা খাবারও আছে। এখানে হালকা খাবারই পাওয়া যায় প্রায় ১শ' পদের। যেমন নান সোং পেস্ট্রি, তিলের প্রলেপযুক্ত আঠালো চালের তৈরি খাবার ও পদ্মমূলের শর্করা।
1 2 3 4
|