হাংচৌ শহর চীনের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। ২ হাজার ২শ'য়েরও বেশি বছর ধরে জনশ্রুতি চালু আছে যে 'ওপরে স্বর্গ আর নিচে সুচৌ ও হাংচৌ শহর'। বুঝে দেখুন, চীনাদের মনে সৌন্দর্য্যের দিক দিয়ে হাংচৌ কি রকম স্থান করে নিয়েছে। আজ আমরা আপনাদেরকে হাংচৌ শহরের হো ফাং সড়কের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবো। হো ফাং সড়ক হাংচৌ-এর বিখ্যাত—উ শান পাহাড়ের পাদদেশ দিয়ে এগিয়ে গেছে। পশ্চিম হ্রদের যে অংশটিকে বিশ্ব হেরিটেজের অংশে পরিণত করার জন্য আবেদন করা হয়েছে এটি তার অন্যতম। পাশাপাশি এটি হাংচৌ-এর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক দৃশ্যে রূপান্তরিত গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর মধ্যে একটি।
হো ফাং প্রধান সড়কটি লম্বায় ৪শ' ৬০মিটার এবং চওড়ায় ১২মিটার। ৮শ' ৮০ বছরেরও বেশি সময় আগে যখন হাংচৌ চীনের নান সোং রাজবংশের রাজধানী ছিল তখন হো ফাং সড়ক ছিল সাংস্কৃতিক ও আর্থ-বাণিজ্যিক কেন্দ্র। সে সময় জায়গাটি ছিল খুব সরগরম। এখনকার হো ফাং সড়কের কিছু অংশে সেই সব প্রাচীন স্থাপত্য দৃশ্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। সড়কের দু'পাশে কাঠের কাঠামো ও ধূসর টালি দিয়ে ছাওয়া ঘর। দেখতে পুরনো রীতির আর পুরাতাত্ত্বিক আবহের শিল্পকর্ম বলে মনে হয়। দু'পাশে প্রধাণত বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ও ওষুধের দোকান। এছাড়া লোক শিল্পীদের চমকপ্রদ শৈলীরও অনন্য প্রদর্শনী আছে। হোফাং সড়ক প্রশাসন কমিটির মাদাম শান সিয়ান পিং বলেন,
বিভিন্ন ঋতুতে সড়কে উত্সব হয়। বসন্তকালে মন্দির মেলার পাশাপাশি চান্দ্র পঞ্জিকার প্রথম দিন থেকে পঞ্চদশ দিন পর্যন্ত চলে অনুষ্ঠান। চান্দ্র পঞ্জিকা অনুযায়ী ডিসেম্বরের অষ্টম দিনে সংশ্লিষ্ট উত্সবের উদযাপনী হয়। ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি, রীতিনীতির প্রদর্শনী চলে এখানে। পর্যটকরা সড়কে বেড়াতে গিয়ে বাড়তি কিছু বিষয় যেমন সেখানকার সংস্কৃতি অনুভব করতে পারেন।
হোফাং সড়কে কয়েকটি চা'য়ের দোকান আছে। চায়ের দোকানের পরিবেশকরা ঢিলা পোশাক পরে, তামার চায়ের পাতিল থেকে গরম গরম চা পরিবেশন করেন। কাপড়ের দোকানের মালিকরা আপনার চোখের সামনে আপনার জন্য কাঠের চরকা দিয়ে মসলিন তৈরী করে দেবেন। এমনকি মিশ্রি বিক্রেতারাও ঢিলা পোশাক পরে চ্যাপ্টা ডুগডুগি বাজিয়ে তাদের জিনিসের ধুন্ধুমার ক্যানভাস করে যাবেন।
1 2 3 4
|