
বিংশ শতাব্দীর আশি'র দশকে তারা মূলভূভাগের চিত্রকলা জগতে নিজের স্থান করে নিয়েছেন। ১৯৮৬ সালে তারা সাহসের সঙ্গে একটি সিদ্ধান্ত নেন যে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে পশ্চিমা চিত্রকলা শিখবেন। তখন চৌ শান জুও'র বয়স ৩৪ আর চৌ তা হুয়া'র বয়স ২৯। যুক্তরাষ্ট্রে তাদের জীবনের একটি নতুন দরজা খুলে গিয়েছে।
শিল্পীদের নিজের বৈশিষ্টত গড়ে তোলা এবং মানুষের স্বীকৃতি পাওয়া সহজ কথা নয়। চৌ শান জুও ও চৌ তা হুয়াং পশ্চিমের প্রবণতা গ্রহণ করা বা শেখা শুধু তা নয়। তারা বেছে বেছে নিজের দরকারি উপাদানগুলো শিখে নিয়েছেন। তারা ছবি আঁকার সময় প্রথমে একটি বড় ক্যানভাসের একপাশে সব রং ফেলে দেন। তারপর সঙ্গীতের সুরের সঙ্গে সঙ্গে বড় ব্রাস দিয়ে ক্যানভাসে ছবি আঁকেন। দর্শকরা প্রথমে কেউ বুঝতে পারে না যে পরে তারা কি আঁকবে। এক ঘন্টা পর ক্যানভাসে চটপটে মানুষ বা চিত্রময় প্রতীক সৃষ্টি হয়ে যায়। এমন ছবি'র সামনে দাঁড়িয়ে দর্শকরা সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। ১৯৯৪ সালে তারা দু'জন ছবি আঁকার প্রক্রিয়া দর্শকদের দেখাতে শুরু করেন। ছবি আঁকার প্রক্রিয়া থেকে দর্শকরা শিল্পকলার সৌন্দয্য উপভোগ করতে পারেন।

1 2 3 4
|