v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-09-04 09:58:36    
হংকংয়ের ইতিহাস যাদুঘরের পরিচালক মিং চি ছুয়েন

cri

 

    মিং চি ছুয়েন বলেছেন, চীনের মূলভূভাগের কুয়াং তুং প্রদেশের বিশেষ নাটক জাতীয় সংস্কৃতি রুপ-ইয়ুয়ে চিয়ু, বিংশ শতাব্দীর ৫০ ও ৬০ দশকে হংকংয়ে খুব জনপ্রিয় ছিল। হংকং সংস্কৃতি যাদুঘরে ইয়ুয়ে চিয়ু সম্পর্কিত পুরাকীর্তি ২০ হাজারেরও বেশি রয়েছে। তা সম্ভবত বিশ্বের শ্রেষ্ঠ রেকর্ড।

    ২০০৭ সালে মিং চি ছুয়েন হংকংয়ের ইতিহাস যাদুঘরের পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হংকং ইতিহাস যাদুঘর হলো হংকংয়ের সবচেয়ে পুরোনো যাদুঘরের মধ্যে একটি। যাদুঘরে একটি নিয়মিত প্রদর্শনি গ্যালারী আছে, তা হলো "হংকংয়ের গল্প"। এতে ছয় হাজার বছর আগের ইতিহাস থেকে আধুনিক হংকংয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্র অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মিং চি ছুয়েন আশা করেন দর্শকরা এই প্রদর্শনী থেকে হংকংকে আরো ভালভাবে জানতে পারবেন।

    "আসলে অতিতে হংকংয়ে আসা অভিবাসীদের মধ্যে প্রধানত মূলভূভাগের উত্তরাঞ্চলের মানুষই বেশি। বিশেষ করে গত এক'শ বছরে চীন ও বিশ্বের অন্য দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ক্ষেত্রে হংকং একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমাদের ধারণা হলো হংকং প্রবাসী বা বিদেশী পর্যটকরা হংকংয়ের ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে আরো বেশি জানতে পারবেন।"

    মিং চি ছুয়েন হংকং-এর ইতিহাস যাদুঘরের ৯০ হাজারেরও বেশি প্রদর্শনী পুরাকীর্তি ব্যবহার করে ধারাবাহিক প্রদর্শনীর অনুষ্ঠান আয়োজন করতে চান। তিনি এখন "তিনটি শহরের গল্প" প্রসঙ্গে একটি প্রদর্শনী আয়োজনের পরিকল্পনার কথা ভাবছেন। তিনি মনে করেন মূলভূভাগের শাংহাই, কুয়াং চৌ এবং হংকংয়ের মধ্যে অনেক দিক থেকে মিল আছে। এই তিনটি শহর ঐতিহ্যিক কারণে চীনা ও পশ্চিমা সংস্কৃতি সংযুক্ত হওয়ার নমুনা হয়েছে। মিং চি ছুয়েন মনে করেন হংকং, কুয়াং চৌ ও শাংহাইয়ের উন্নয়নের ইতিহাস পরিদর্শন করে ভবিষ্যতের উন্নয়নের পথ বিবেচনার জন্য সহায়ক হবে।

    সংস্কৃতি যাদুঘর হোক, ইতিহাস যাদুঘর হোক, মিং চি ছুয়েন মূলভূভাগের সাংস্কৃতিক বিভাগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। তাঁর কিছু প্রদর্শনী চীনের জাতীয় যাদুঘর ও রাজধানী যাদুঘরের সাহায্য পেয়েছে। মিং চি ছুয়েন সংবাদদাতাকে বলেছেন, ১৯৯৭ সালে হংকং মূলভূভাগে ফিরে আসার আগে এমন যোগাযোগ খুব কম ছিল। এখন হংকং ও মূলভূভাগের বিনিময় অনেক বেড়েছে। হংকংয়ের প্রবাসীরা অনেক মূলভূভাগের চমত্কার প্রদর্শনী দেখতে পারেন। হংকং ও মূলভূভাগের ভবিষ্যত সহযোগিতা নিয়ে মিং চি ছুয়েন বলেছেন:

    "পেইচিংয়ের বড় যাদুঘর, যেমন রাজধানী যাদুঘর ও জাতীয় যাদুঘর, সব সময় আমাকে সহযোগিতা করেছে। ভবিষ্যতে এই সহযোগিতা আরো ঘনিষ্ঠ হবে। যেমন তাদের কিছু বড় আকারের প্রদর্শনী হংকংয়ে আয়োজন করা যাবে। তাছাড়া মানব সম্পদের প্রশিক্ষণ ও বিনিময় ক্ষেত্রেও অনেক সহযোগিতা করার সম্ভাবনা রয়েছে।"


1 2 3