
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষে মিং চি ছুয়েন হংকংয়ের পুরাকীর্তি কার্যালয়ে কাজ করতে শুরু করেন। ১৯৮৬ সালে পুরাকীর্তি কার্যালয়ে তিনিসহ শুধু চার জন কর্মকর্তা ছিলেন। তারা হংকংয়ের পুরাকীর্তি তত্ত্বাবধান ও সুরক্ষার কাজ করেন। মিং চি ছুয়েন হাসি মুখে বলেছেন, এই কার্যালয়ে কর্মকর্তা খুব কম বলে তিনি প্রায় সব ক্ষেত্রের কাজ করতেন। তার ফলে তিনি হংকংয়ের প্রায় প্রতিটিই পুরোনো ভবনের ভেতরেই দেখতে গিয়েছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হংকং ক্রমাগতই পুরাকীর্তি সুরক্ষার উপরে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং নাগরিকরাও এতে বেশ সচেতন হয়ে উঠেছে। মিং চি ছুয়েন বলেছেন:
"সম্প্রতি, বিশেষ করে গত ৭ থেকে ৮ বছরের মধ্যে হংকংয়ের পুরাকীর্তি সুরক্ষার কাজ খুব দ্রুত উন্নয়ন হচ্ছে। আগে এমন ছিল না। বিংশ শতাব্দীর ৭০ দশকে হংকংয়ের "পুরাকীর্তি সুরক্ষা আইন" মাত্র গৃহীত হয়েছে। এখন কিছু নাগরিকরা সচেতন হয়ে পুরাকীর্তি'র মূল্য আস্তে আস্তে স্বীকার করে তুলেছেন। এতে তাদের কিছু অভিন্ন স্মৃতি আছে। তাই এখন পুরাকীর্তির সুরক্ষা বিষয় একটি খুব জনপ্রিয় বিষয় হয়ে উঠেছে।"

১৯৯৫ সাল থেকে মিং চি ছুয়েন হংকংয়ের সংস্কৃতি যাদুঘরে কাজ করতে শুরু করেছেন। তিনি এই যাদুঘরের গঠনের পরিকল্পনা গ্রুপের মধ্যে একজন। ৫ বছর পর হংকং সংস্কৃতি যাদুঘর আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে। তা একটি বহুমুখী যাদুঘর। এতে ১২টি প্রদর্শনী হল আছে। ইতিহাস, চারুকলা এবং সংস্কৃতি ক্ষেত্রের সব বিষয় এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ২০০২ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত মিং চি ছুয়েন যাদুঘরের প্রধান পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন । মিং চি ছুয়েন মনে করেন হংকং একটি অভিবাসনের শহর হিসেবে, তা প্রাচীণ, আধুনিক, পূর্ব এবং পশ্চিমের সংস্কৃতি আকর্ষণ করে নিজের সংস্কৃতিতে তা মিশেছে। তাই আজকের বৈশিষ্টময় হংকং-এর সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। মিং চি ছুয়েন মানুষদের জীবন সম্পর্কিত বাস্তব প্রদর্শনীর মাধ্যমে হংকংয়ের সংস্কৃতি দেখার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেছেন:
"গত এক'শ বছর ধরে চীন ও পশ্চিমা সংস্কৃতি'র বিনিয়ম হংকংয়ের জীবন ও সংস্কৃতির উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। হংকং-এর মানুষের জীবন ও অভ্যাস হলো চীন ও পশ্চিমা সংস্কৃতির সম্মিলনের ফল। সংস্কৃতি যাদুঘর জনগণ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে খুব সচেতন। প্রতি বছর আমরা একটি নতুন বিষয় নিয়ে প্রদর্শনী করি। যেমন খাদ্য, আমোদপ্রমোদ, ডিজাইন ও ফোটোগ্রোফি এই সব জীবনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।"
1 2 3
|