(হুহহোট) বন্ধুরা, হুহহোট, পাওথৌ ও এর্দোস শহর মধ্য অন্তর্মঙ্গোলিয়ার স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে অবস্থিত। ২০০৬ সালে এ তিনটি শহরের জিডিপি সারা চীনের অর্ধেক ছিল। এ তিনটি শহর এখন অন্তর্মঙ্গোলিয়ার প্রাণশক্তিতে ভরপুর অঞ্চল। এ তিনটি শহর অন্তর্মঙ্গোলিয়ার অর্থনীতি ও সমাজ উন্নয়নের স্বর্ণ ত্রিকোণ বলে পরিচিত। আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে এ সম্পর্কে কিছু কথা বলবো।
(হুহহোট)
অন্তর্মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ১৯৪৭ সালের পয়লা মে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি হল চীনের প্রথম সংখ্যালঘুজাতীয় স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। অন্তর্মঙ্গোলিয়া প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক পর্যায়ে এখানে জনগণের জীবনধারণের প্রধান কাজ ছিল পশুপালন। অর্থনীতি ও সমাজের উন্নয়ন ছিল অনেক অনগ্রসর। এখন কেন্দ্রীয় সরকারের সমর্থন ও বিভিন্ন জাতির জনগণের যৌথ প্রচেষ্টায় ৬০ বছরের উন্নয়নের মাধ্যমে অন্তর্মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের অর্থনীতির দ্রুত উন্নতি হয়েছে। ৯২ বছর বয়সী মঙ্গোলীয় জাতির একজন বয়সু ব্যক্তি কেলি অন্তর্মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের অর্থনীতির উন্নয়ন দেখেছেন। তিনি বলেছেন, 'আগে অন্তর্মঙ্গোলিয়ার অর্থনীতির উত্স ছিল 'চা, পোষাক, পানি, লবন ও চিনি এবং উট, গরু, ঘোড়া ও ছাগল।''
কেলির কথায় 'চা, পোষাক, পানি লবন ও চিনির' মানে অন্তর্মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক পর্যায়ে শুধু চা, পোষাক, লবন ও চিনি উত্পাদিত ছোট কারখানা ছিল এবং উত্পাদণ পদ্ধতি ছিল অনেক অনগ্রসর। 'উট, গরু, ঘোড়া ও ছাগল' মানে আগে অন্তমোঙ্গলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের জনগণের প্রধান কাজ জীবনযাপনের প্রণালী ছিল পশুপালন। শিল্পের কাঠামো ছিল না।
(হুহহোট)
অন্তর্মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পর, শিল্পের ভিত্তি ভাল ছিল না। দীর্ঘ সময় ধরে পশুপালন প্রধান জীবনযাপনের প্রধান দিক হিসেবে অর্থনীতির উন্নয়ন ধীর পগিতে হয়েছে। গত শতাব্দীর ৯০ দশকের প্রথম দিকে এ অর্থনীতির কাঠামোর পরিবর্তন হয়। তখন অন্তর্মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল প্রথমেই এ অঞ্চলের গুরুত্বকে উন্নয়নের দিকে ধাবিত করে, এরপর সকল অঞ্চলের উন্নয়ন ত্বরান্বিতের নীতি প্রণয়ন করে। মধ্য অন্তর্মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের হুহহোট, পাওথৌ ও এর্দোস হল উন্নয়নের প্রথম তিনটি শহর। এ তিনটি শহরে কয়লা, রের-এয়ার্থ ও লৌহ সম্পদ রয়েছে। এ তিনটি শহর হল পাশাপাশি শহর। সেজন্য এ তিনটি শহরের অর্থনৈতিক ত্রিকোণ প্রতিষ্ঠার সুষ্ঠু সুযোগ রয়েছে।
1 2 3
|